ভুঁড়ি যেন না বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যপ্রদেশ স্ফীত! এমন পুরুষ মহিলাদের কাছে বিশেষ নম্বর পান না। বিভিন্ন সমীক্ষা তেমনটাই জানাচ্ছে। এই সব সমীক্ষার ফলাফল নিয়ে পুরুষদের বিশেষ মাথাব্যথা না থাকলেও, ভুঁড়ি হোক, চান না কেউই। অত্যধিক বাইরের খাবার খেলে পেটে মেদ জমতে শুরু করে। আবার মদ্যপানের অভ্যাসেও বাড়ে ভুঁড়ি। জীবন জুড়ে শুধু অনিয়ম, অথচ শরীরচর্চার কোনও বালাই নেই, সে ক্ষেত্রেও ভুঁড়ি অবধারিত। তবে এই কারণগুলিই একমাত্র নয়। সকালের জলখাবারে ছোটখাটো কিছু ভুলেও নাদুসনুদুস ভুঁড়ি তৈরি হয়। জেনে নিলে সতর্ক থাকা যাবে।
কালো কফি খাওয়া
সকালে ঘুমের রেশ কাটাতে কালো কফি দরকার পড়ে অনেকের। কিন্তু, খালি পেটে কালো কফি খাওয়া একেবারেই ভাল নয়। এতে শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয়। হরমোনের এই ভারসাম্যহীনতায় পেটে মেদ জমতে পারে।
প্রোটিন কম খাওয়া
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রোটিন বেশি খাওয়া জরুরি। আর সেটা দিনের শুরুতেই খেতে হবে। প্রোটিন দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ঘন ঘন খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। প্রোটিন পেটে বাড়তি মেদও জমতে দেয় না।
জল কম খাওয়া
সকালে খালি পেটে জল খাওয়ার মতো ভাল অভ্যাস দু’টি নেই। কিন্তু, অনেকেই ঘুম থেকে উঠে প্রথমে চা, কফির কাপ হাতে তুলে নেন। চিনি দেওয়া চা কিংবা কফি মেজাজ চাঙ্গা করে তুললেও, ভুঁড়ি বাড়তে থাকে নিঃশব্দে।
ভাজাভুজি খাওয়া
সকালের জলখাবারে লুচি, পরোটা থাকলে মন্দ হয় না। তবে রোজ ভাজাভুজি খেলে ভুঁড়ি যে বাড়বে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এই ধরনের খাবার প্রায়শই খেলে পেটে চর্বি জমে। অল্প দিনেই পেটের অবস্থা দামোদর শেঠের মতো হয়ে যেতে পারে। সেটা না চাইলে লুচি, পরোটা খাওয়া কমাতে হবে।