পেটের মেদ ঝরানোর সহজ উপায় বলে দিলেন শিল্পা। ছবি: সংগৃহীত।
শিল্পা শেট্টির ফিটনেস নিয়ে নতুন করে কিছু বলার আর দরকার পড়ে না। পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই বয়সেও অভিনেত্রীর চেহারার লাবণ্যে মুগ্ধ হতে হয়। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবন মিলিয়ে ব্যস্ততার শেষ নেই তাঁর। তবে সব কিছু সামলিয়েও নিজের যত্ন নিতে ভোলেন না অভিনেত্রী। শিল্পা যে শরীরচর্চার প্রতি অত্যধিক মাত্রায় অনুরক্ত, তা তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতা দেখলেই বোঝা যায়। শিল্পা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন তার ফিটনেস রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যোগাসনেই। কোন কোন যোগাসন করলে পেটের মেদ দ্রুত ঝরানো সম্ভব, হদিস দিলেন অভিনেত্রী।
নৌকাসন: মাটিতে পাতা ম্যাটের উপর টান টান হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত ধীরে ধীরে মাটি থেকে তুলুন। দুই হাত সামনের দিকে বাড়িয়ে রাখুন। এর পর নিতম্বের উপর ভর দিয়ে দুই পা-ও সামনের দিকে তুলে ধরুন। এই অবস্থায় দেহের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন। প্রথম দিকে এই অবস্থায় থাকতে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু নিয়মিত অভ্যাস করলে ব্যালান্স চলে আসবে। তখন ৫-৬ বারও অভ্যাস করতে পারেন এই ব্যায়াম।
ভুজঙ্গাসন: মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।
ধনুরাসন: পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তারপর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতখানি সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক হাঁটু ও উরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর আগের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।
কুম্ভকাসন: ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘প্ল্যাঙ্ক পোজ়’। এই ব্যায়ামটি করার জন্য প্রথমে ম্যাটে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার পর কনুইয়ে এবং পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে সমান্তরাল ভাবে গোটা দেহ মাটি থেকে তুলে ধরুন। এই অবস্থায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন। ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে পারেন।
উষ্ট্রাসন: হাঁটু গেড়ে বসুন। পিছনের দিকে খানিকটা হেলে হাত দু’টি দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরুন। এর পর মাথা পিছনের দিকে ঝুলিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে পেটের অংশটা সামনের দিকে এগিয়ে দিন। ডান হাতের বুড়ো আঙুলটি ডান দিকের গোড়ালির ভিতর দিকে রেখে বাকি সব আঙুল বাইরের দিকে রাখুন। বাঁ দিকের ক্ষেত্রেও একই ভাবে রাখুন। পায়ের পাতা মাটিতে রাখুন। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে শবাসন করে শুরুর অবস্থায় ফিরে যান।