গরমে জারি রাখতে বলা হচ্ছে শরীরচর্চার অভ্যাসও। ছবি: সংগৃহীত।
বাইরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। বেরোলেই যেন ছেঁকা লাগছে। রোদ মাথায় নিয়ে অফিসে যাওয়ার কথা ভাবলেই অস্বস্তি হচ্ছে। আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণেও নাভিশ্বাস ওঠার মতো অবস্থা। রোদচশমা থেকে শরীর ঢাকা পোশাক, গরম থেকে বাঁচতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না কেউই। কিন্তু তাতেও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। ঠান্ডা জল থেকে নরম পানীয়, আখের রস খাওয়া, দিনে দু’-তিন বার স্নান করা— অনেকেই স্বস্তি পেতে ভরসা রাখছেন নানা বিকল্পে। কিন্তু স্বস্তি মিলছে কি?
তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্দেশিকা প্রকাশ্যে এসেছে। সুস্থ থাকার হাজারটি উপায় জানিয়ে অকপট হয়েছেন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদেরাও। খাওয়াদাওয়া থেকে পোশাক, সবেতেই বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলছেন উভয় পক্ষই। তবে সেই সঙ্গে জারি রাখতে বলা হচ্ছে শরীরচর্চার অভ্যাসও। অনেকেই গরম বলে শরীরচর্চা থেকে সাময়িক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। চিকিৎসকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। বরং কিছু শরীরচর্চা করলে শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা থাকবে। রইল তেমনই কয়েকটি যোগাসনের সন্ধান।
শবাসন
সবচেয়ে সোজা আসন মনে হলেও শবাসন করতে দরকার মানসিক স্থিরতার। চিত হয়ে শুয়ে পা দু’টি লম্বা করে ছড়িয়ে দিন। দু’টি হাত শরীরের দু’পাশে রাখুন। হাতের তালু দু’টি শিথিল করুন। চোখ বন্ধ করুন। বেশ কিছু ক্ষণ এ ভাবে থাকার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। এতে মন, মাথা এবং শরীর শান্ত থাকবে।
বালাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে মাদুরের উপর হাঁটু মুড়ে বসুন। এ বার শ্বাস নিয়ে হাত দু’টি মাথার উপর রাখুন। শ্বাস ছেড়ে শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে বেঁকান। মাটিতে কপাল ঠেকান। নিতম্ব রাখুন গোড়ালির উপরে। এই ভঙ্গিতে কিছু ক্ষণ থাকুন। তবে খেয়াল রাখুন পিঠ যাতে না বেঁকে যায়।
তাড়াসন
এই আসনটি করতে প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’পায়ের পাতার মধ্যে কিছুটা দূরত্ব রাখুন। হাত দু’টি উপরে তুলে কাঁধের সমান সমান নিয়ে যান। হাতের তালু রাখুন বাইরের দিকে। এ বার শ্বাস নিতে নিতে মাথার উপর হাত দু’টি নিয়ে যান। একটি হাতের তালুর উপর অন্যটি রাখুন। পায়ের পাতার উপর শরীরের ভারসাম্য রেখে পায়ের গোড়ালি মাটি থেকে উপরে তুলুন। এই অবস্থায় ৩ থেকে ১০ বার শ্বাস নিন। এ বার গোড়ালি মাটি স্পর্শ করান। শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। রোজ নিয়ম করে এই আসনটি করুন। শরীর ঠান্ডা থাকবে।