ইয়ারফোনের ব্যবহার কানের উপর কী রকম প্রভাব ফেলে জানেন? ছবি: প্রতীকী
অফিসে বসে কম্পিউটারে কাজ করছেন। কাজের চাপ প্রশমিত করার জন্যে কানে হালকা গান চলছে। আবার কাজ থেকে ফেরার দীর্ঘ পথের ক্লান্তি দূর করতেও গান শুনতে শুনতে ফেরেন অনেকে। আবার কাজের ধরনের জন্যেও ইদানীং ইয়ারফোনের ব্যবহারও খানিক বেড়েছে। সম্প্রতি তেমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বাসিন্দা ১৮ বছর বয়সি এক তরুণ হারাতে বসেছিল কানে শোনার ক্ষমতা। একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ ক্ষণ কানে ইয়ারফোন গুঁজে রাখার ফলে কর্ণকুহ্বরে বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ওই তরুণের। ফলে কানের ভিতর ঘাম জমে শুরু হয় সংক্রমণ। যার ফলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে বসেছিল ওই তরুণের। তবে সময়মতো চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শ্রবণশক্তি ফিরে পেয়েছিল সে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত ইয়ারফোনের ব্যবহার কিন্তু চিরতরে শ্রবণশক্তি নষ্ট করতে পারে। সঙ্গে নানা রকম শারীরিক সমস্যা তো আছেই। ইয়ারফোনের ব্যবহার কানের উপর কী রকম প্রভাব ফেলে জানেন?
শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে
ইয়ারফোনের ব্যবহার করার সময় শব্দ সরাসরি কানে প্রবেশ করে। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দ কানে গেলে বিনষ্ট হতে পারে শ্রবণশক্তি। চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, ১০০ ডেসিবেলের উপর ইয়ারফোন ব্যবহার করা উচিত নয় একেবারেই।
কানে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে
আজকাল বাজারে এমন কিছু ইয়ারফোন পাওয়া যায় যেগুলির শব্দের গুণগতমান ভাল হলেও এতে একটি ঝুঁকিও থেকে যায়। কারণ এ সব ইয়ারফোনগুলি কানের বহু গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করানো হয়। যার ফলে কানের ভিতরে বায়ু প্রবেশের বাধার সৃষ্টি করে। এতে কানে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়।
মস্তিষ্কের উপর প্রভাব
ইয়ারফোন থেকে সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ব্লুটুথ ইয়ারফোনের ব্যবহার কানকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করে। শুধু তাই নয়, ব্লুটুথের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে তার ক্ষতিকর প্রভাব মস্তিষ্কের উপর পড়ে।