বরফের ছেঁকা লাগলেও ফোস্কা পড়তে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
গরমে হিটর্যাশ থেকে মুক্তি পেতে বেশ কিছু দিন ধরেই ঠান্ডা বরফ সেঁক দিচ্ছিলেন। বেশ আরাম লাগছিল। কিন্তু হঠাৎ দেখলেন, ত্বকের উপর ফোস্কার মতো কী যেন একটা হয়েছে। গরম ছেঁকা লাগলে যেমন ফোস্কা পড়ে, ঠিক তেমনটাই হয়েছে ত্বকের উপর সরাসরি বরফ ঘষে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় কি ত্বকে এমন ক্ষত হতে পারে? চিকিৎসকেরা বলছেন, রোদ, গরম ধাতুর মতোই দীর্ঘ ক্ষণ বরফের প্রত্যক্ষ স্পর্শ থেকেও ত্বক পুড়ে যেতে পারে। ত্বকের উপরের চামড়া ফুলে তার ভিতর তরল জমে ফোস্কাও পড়াও অস্বাভাবিক নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘আইস বার্ন’।
‘আইস বার্ন’ কেন হয়?
ত্বকের উপর দীর্ঘ ক্ষণ বরফ ধরে রাখলে এ ধরনের ক্ষত সৃষ্টি হয়। গরম থেকে মুক্তি পেতে মুখে, শরীরে সরাসরি বরফ ঘষছেন অনেকেই। কিন্তু ঠিক কত ক্ষণ ত্বকে বরফ ঘষা যায়, সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আবার, স্পর্শকাতর ত্বক বা শরীরের স্পর্শকাতর অংশে যে সরাসরি বরফ ঘষা যায় না, সে সম্পর্কেও সকলের তেমন ধারণা নেই। গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে এখন ঠান্ডার জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছেন অনেকেই। কাশ্মীর বা লাদাখের বরফাবৃত রাস্তায় তুষারপাত দেখে আপ্লুত হয়ে পড়ছেন। সঠিক পোশাক, চামড়ার দস্তানা বা জুতো ছাড়াই বরফের উপর চলে যাচ্ছেন। সেখান থেকেও কিন্তু ‘আইস বার্ন’ হতে পারে।
‘আইস বার্ন’ হলে কী সমস্যা হতে পারে?
একটু বেশি সময় ত্বকের উপর বরফ ধরে রাখলে ওই অংশটি চিনচিন করতে থাকে। কোনও অনুভূতি থাকে না। উপযক্ত সাবধানতা না নিয়ে প্রচণ্ড ঠান্ডা বা বরফাবৃত অঞ্চলে দীর্ঘ ক্ষণ থাকলে ত্বকে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ওই অংশে কোনও সাড় থাকে না। রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। কারও কারও আবার ফোস্কা পড়তেও দেখা যায়।
ঠান্ডায় ত্বক পুড়ে গেলে কিংবা ফোস্কা পড়ে গেলে কী করবেন?
ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে হবে। জল বসতে দেওয়া একেবারেই যাবে না। শুকনো করে মুছে, পোড়া জায়গায় অ্যালো ভেরা জেল লাগানো যেতে পারে।