Healthy Oils

৫ তেল: রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট চাঙ্গা রাখতে পারে

বেশি তেল খেলে হার্টের রোগ বাড়তে পারে। তাই এমন কিছু তেলের সন্ধান রইল এখানে, যা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা মানুষের স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৩১
Add these oils to your regular diet for health benefits.

কোন তেল বেশি স্বাস্থ্যকর? ছবি: সংগৃহীত।

কোলেস্টেরলের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের খাওয়াদাওয়া নিয়ে হাজার রকমের বিধি-নিষেধ থাকে। বিশেষত স্নেহ বা চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়েই চলতে বলেন চিকিৎসকেরা। লুচি, পরোটা, বিরিয়ানি কিংবা পোলাও না খেলেও রোজের সাধারণ মাছের ঝোল কিংবা স্টু রাঁধতে কোন তেল ব্যবহার করা উচিত, তা নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। ফলে কী তেল খাবেন, তা ভেবে পান না অনেকেই। রইল এমন কিছু তেলের সন্ধান, যা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা মানুষের স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারে।

Advertisement

১) অলিভ অয়েল

জলপাই থেকে নিষ্কাশিত এই তেল, বিশেষত এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রসঙ্গত, ভার্জিন অলিভ অয়েল বলতে সেই ধরনের তেলকে বোঝানো হয় যা নিষ্কাশন করতে কোনও ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। এতে ফেনলজাতীয় যৌগের সংখ্যা প্রায় তিরিশটি। এই উপাদানটি একসঙ্গেই প্রদাহনাশক এবং সংবহনতন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য উপকারী। অন্যান্য তেলের তুলনায় এই তেলে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

২) নারকেল তেল

দক্ষিণে প্রায় সব রান্নাতেই নারকেল তেল ব্যবহার করা হয়। তবে এখানে নারকেল তেল জনপ্রিয় রূপচর্চার জন্য। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নারকেল তেলে রয়েছে মিডিয়াম-চেন ট্রাইগ্লিসারাইড্‌স। তাই কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই বললেই চলে। ঘি, মাখনের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে নারকেল তেল খাওয়াই যায়।

৩) ক্যানোলা তেল

কানাডায় সর্ষের তেলকে এক বিশেষ উপায়ে পরিশুদ্ধ করে এই তেল তৈরি করা হয়। ক্যানোলা তেলে উপস্থিত সম্পৃক্ত ফ্যাটের পরিমাণ মাত্র ৭ শতাংশ। অলিভ অয়েলের মতো এটিও অসম্পৃক্ত ফ্যাটে পদার্থের সমৃদ্ধ। এই তেল অলিভ অয়েলের তুলনায় আরও বেশি তাপমাত্রায় পোড়ে, তাই উচ্চ উষ্ণতায় রান্না হওয়া পদ ও ভাজাভুজির জন্য এই তেল বিশেষ উপযোগী। তবে স্যালাড জাতীয় খাবারে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।

Add these oils to your regular diet for health benefits.

ক্যানসার প্রতিরোধ করতে ও আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ কমাতে তিসির তেল অত্যন্ত উপযোগী। ছবি: সংগৃহীত।

৪) তিসির তেল

গ্রাম বাংলার এক সময়ে খুবই প্রচলিত ছিল এই তেল। কিন্তু কালের নিয়মে এখন আর বিশেষ জনপ্রিয়তা নেই এই তেলের। অথচ খাদ্যগুণের দিক থেকে এই তেল কিন্তু অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। এটি আলফা লাইনোলেনিক অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে ও আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ কমাতেও এটি অত্যন্ত উপযোগী। তবে এই তেল গরম করলে নষ্ট হয়ে যায় এর খাদ্যগুণ। স্যালাড খেতে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের জন্য খুব ভাল একটি বিকল্প হতে পারে এই তেল।

৫) তিলের তেল

রূপচর্চায় বহু দিন ধরেই ব্যবহার করা হয় তিলের তেল। তবে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই তেলের দেখা মেলে এশিয় খাবারে। সব্জি স্যঁতে থেকে স্যালাডের ড্রেসিং— সবেতেই ব্যবহার করা যায় তিলের তেল।

Advertisement
আরও পড়ুন