Compartment Syndrome

ঘণ্টার পর ঘণ্টা পায়ের পেশিতে বন্ধ রক্ত চলাচল, কোন ভুলে এমন অবস্থা হল তরুণীর?

মদ্যপান করার পর কি পা বেলুনের মতো ফুলে যেতে পারে? গেলেও কি তা কোনও রোগের লক্ষণ?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ ১৯:১৪
A woman warns people about compartment syndrome

জুলিয়া ‘কম্পার্টমেন্ট সিনড্রোম’ নামক বিরল একটি রোগে আক্রান্ত। ছবি: সংগৃহীত।

কানের পাশ ঘেঁষে মৃত্যুকে ছুঁয়ে যেতে দেখেছিলেন কানাডার এক তরুণী। ভেবেছিলেন এ যাত্রায় আর বেঁচে ফিরবেন না। বা প্রাণে বেঁচে থাকলেও হয়তো একটি পা কেটে বাদ দিতে হবে। কিন্তু দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর শেষে কী করে বেঁচে ফিরলেন, তা জানাতে এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সেই রাতের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথাই সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন তিনি।

সপ্তাহান্তে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করছিলেন বছর ৩৬-এর এক তরুণী জুলিয়া অ্যান্ডারসন। কিন্তু আনন্দে আত্মহারা হয়ে এতটাই মদ্যপান করে ফেলেছিলেন যে, নিজে থেকে নড়ার শক্তি পর্যন্তও ছিল না। কোনও মতে বন্ধুদের সাহায্যে বাড়ি পৌঁছনোর পর খেয়াল করেন, তার একটি পা ফুলে প্রায় বেলুনের মতো আকার ধারণ করেছে। শুধু তা-ই নয়, পা নাড়ানোর ক্ষমতা পর্যন্ত নেই। সঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা। কোনও মতে রাতটুকু কাটানোর পরই জুলিয়া ছুটে যান স্থানীয় হাসপাতালে। কারণ তত ক্ষণে পা ফুলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন হল তা বুঝতে পারছিলেন না কেউই।

Advertisement

শেষে নানা রকম পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, জুলিয়া ‘কম্পার্টমেন্ট সিনড্রোম’ নামক বিরল একটি রোগে আক্রান্ত। কেন হয় এই রোগটি? সাধারণত দেহের কোনও অংশে রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে স্নায়ুতে বা পেশিতে অক্সিজেন না পৌঁছলে ওই নির্দিষ্ট অঙ্গটি স্বাভাবিক ভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। রক্ত সঞ্চালনও স্বাভাবিক থাকে না, ফলে পেশির আশপাশের অঞ্চলে চাপ বাড়তে থাকে। দীর্ঘ ক্ষণ এমন অবস্থা চলতে থাকলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে পায়ের পেশির আশপাশের অঞ্চল থেকে ফ্লুইড বার করে জুলিয়াকে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে তোলেন চিকিৎসকেরা। যদিও সেই ঘটনার তিন বছর পরও জুলিয়ার পা আবার আগের মতো হয়নি। সেই ক্ষত জুলিয়ার শরীরে এবং মনে রয়েছে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement