Barbie vs Oppenheimer

বক্স অফিসে যুযুধান ‘বার্বি’ ও ‘ওপেনহাইমার’! প্রথম সপ্তাহান্তে ব্যবসার নিরিখে এগিয়ে কে?

এক দিকে গ্রেটা গারউইগের ‘বার্বি’, অন্য দিকে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’। গত ২১ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে দু’টি ছবিই। প্রথম সপ্তাহান্তে বক্স অফিস ব্যবসার দৌড়ে এগিয়ে কোন ছবি?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ ১২:০৫
Stills from Barbie and Oppenheimer.

(বাঁ দিকে) ‘বার্বি’ ছবির একটি দৃশ্য। ‘ওপেনহাইমার’ ছবির একটি দৃশ্য (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

ছবিমুক্তির তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। বক্স অফিসে মুখোমুখি হতে চলেছে গ্রেটা গারউইগের ‘বার্বি’ ও ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’। মুক্তির তারিখ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এই দুই ছবির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছেন গোটা বিশ্বের সিনেপ্রেমীরা। একই দিনে দুই সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার ছবির মুক্তি, তা নিয়েও কম আলোচনা হয়নি। এক দিকে, গ্রেটা গারউইগ পরিচালিত ‘বার্বি’ ছবিতে উঠে এসেছে পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে নারীবাদের উত্থান ও তার বাস্তবোচিত প্রয়োগ। অন্য দিকে, ‘ওপেনহাইমার’ ছবিতে পরমাণু বোমার ‘জনক’ বলে পরিচিত আমেরিকান পদার্থবিদ জে রবার্ট ওপেনহাইমারের গল্প বলেছেন ক্রিস্টোফার নোলান। একই দিনে দু’টি ছবি মুক্তি পাওয়ার কারণে বক্স অফিস ব্যবসা নিয়ে সন্দিহান হয়েছিলেন অনেকেই। দু’টি ছবিই আদৌ ঠিক মতো ব্যবসা করবে তো? সেই প্রশ্নচিহ্ন সরিয়ে প্রথম সপ্তাহান্তেই বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করেছে ‘বার্বি’ ও ‘ওপেনহাইমার’। গোটা বিশ্বের বক্স অফিসে এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি হুজুগ হলিউডের এই দুই ছবি ঘিরেই। প্রথম সপ্তাহান্তে ঠিক কত টাকার ব্যবসা করল গ্রেটা ও নোলানের ছবি?

Advertisement
Scene from Barbie movie.

‘বার্বি’ ছবির একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

গত ২১ জুলাই মুক্তি পেয়েছে ‘বার্বি’ ও ‘ওপেনহাইমার’। এক দিকে নিজের ছবির প্রচারের জন্য বুদ্ধিদীপ্ত সব বিপণন কৌশল বেছেছিলেন পরিচালক গ্রেটা গারউইগ। পোশাকের ব্র্যান্ড থেকে তাবড় ফাস্ট ফুড সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে ছবির প্রচার করেছেন গ্রেটা। এমনকি, ছবির প্রচারের জন্য ‘গুগল’-এর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিল ‘বার্বি’র টিম। মুক্তি দিন কয়েক আগে ‘গুগল’-এ ‘বার্বি’ লিখে সার্চ করলেই গোলাপি রঙে ভরে উঠছিল কম্পিউটার, মোবাইল ও ট্যাবলেটের পর্দা।

Scene from Oppenheimer movie.

‘ওপেনহাইমার’ ছবির একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

অন্য দিকে, ‘ওপেনহাইমার’-এর প্রচারের জন্য ক্রিস্টোফার নোলানের নামই যথেষ্ট। ‘ইনসেপশন’ থেকে ‘ইনটারস্টেলার’, একের পর এক অনবদ্য ছবির সৌজন্যে শুধু পরিচালক হিসাবে নিজের জায়গা পোক্ত করেননি নোলান, বরং হলিউডে স্বতন্ত্র একটি ঘরানা বানিয়েছেন তিনি। ছবির প্রচারের ক্ষেত্রে তাই খুব বেশি মাথা না ঘামালেও ছবি নিয়ে উৎসাহ ছিলই। সেই ছাপ পড়েছে বক্স অফিস ব্যবসার পরিসংখ্যানেও। প্রথম সপ্তাহান্তে শুধু আমেরিকাতেই প্রায় ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করে ফেলেছে ‘ওপেনহাইমার’, ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ৬৬০ কোটি টাকার কাছাকাছি। তবে অপ্রত্যাশিত ভাবে ‘ওপেনহাইমার’কে রীতিমতো টেক্কা দিয়েছে গ্রেটার ‘বার্বি’। সবাইকে চমকে দিয়ে আমেরিকায় প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছেন মার্গো রবি ও রায়ান গজ়লিং অভিনীত এই ছবি, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১২৭১ কোটি টাকার সমান। এই হিসাবের নিরিখে আমেরিকায় ‘ওপেনহাইমার’-এর প্রায় দ্বিগুণ ব্যবসা করেছে ‘বার্বি’। বক্স অফিসে বিশেষজ্ঞদের মতে ‘পপ কালচার’-এর জনপ্রিয়তা বিপণন কৌশলের জোরেই ‘ওপেনহাইমার’কে প্রথম সপ্তাহান্তে গোল দিয়েছে ‘বার্বি’।

অন্য দিকে, ভারতে কিন্তু ছবিটা একেবারে উল্টো। এ দেশে আবার ‘ওপেনহাইমার’ নিয়ে দর্শকের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। নোলানের জনপ্রিয়তা এ দেশে নতুন নয়। তাতে কিছুটা অবদান রয়েছে হুজুগেরও। তাই ‘বার্বি’কে টেক্কা দিতে তেমন বেগ পেতে হয়নি ‘ওপেনহাইমার’কে। ভারতে প্রথম সপ্তাহান্তে ‘ওপেনহাইমার’-এর ঝুলিতে এসেছে প্রায় ৩১ কোটি টাকা, যেখানে ‘বার্বি’র রোজগার ১২ কোটি টাকা। তবে ‘ভাল’ বলিউড ছবির খরার বাজারে দুই ছবিই যে প্রেক্ষাগৃহ ভরিয়ে রেখেছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন
Advertisement