Tota Roychoudhury

Anirban-Tota: সন্দীপের ‘হত্যাপুরী’র ফেলুদা অনির্বাণ? জট ছাড়াতে এলেন সিরিজের ‘ফেলুদা’ টোটা

অনির্বাণ ফেলুদা হলে টোটার মনখারাপ হবে? সিরিজের ‘ফেলুদা’র সাফ জবাব, ‘‘খুব খুশি হব। প্রথমত, সিরিজে আমি ফেলুদা হয়েছি। তাই একে বারে না হওয়ার আক্ষেপ আর নেই। দ্বিতীয়ত, অনির্বাণ অত্যন্ত প্রতিভাবান। কী অভিনেতা, কী পরিচালনায়। ‘মুখোশ’ ছবিতে কাজ করতে গিয়েই বুঝেছি।"

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:৪৫
অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং  টোটা রায়চৌধুরী।

অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং টোটা রায়চৌধুরী।

আটটি ছবির নাম এবং মুক্তির তারিখ ঘোষণা করেছে এসভিএফ। প্রচারের যাবতীয় আলো কেড়ে নিয়েছে চারটি নাম। 'সন্দীপ রায়', 'হত্যাপুরী', 'ফেলুদা' আর 'অনির্বাণ ভট্টাচার্য'।

প্রযোজনা সংস্থার ঘোষণার পরেই ছবির প্রথম লুক জ্বলজ্বল করছে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ফেসবুক পেজে! তা হলে কি অনির্বাণই ফেলুদা? দর্শকেরা দুইয়ে দুইয়ে চার করে দিয়েছে প্রায়।

Advertisement

প্রশ্ন, কথা কি রাখছেন সন্দীপ রায়? এর আগে বলেছিলেন, নতুন ফেলুদা নিয়ে ফিরবেন। সেই অনুযায়ী ২৩ ডিসেম্বর তাঁর আগামী ছবি ‘হত্যাপুরী’তে কি প্রদোষ চন্দ্র মিত্র রূপে দেখা যেতে চলেছে অনির্বাণকেই? যদিও পরিচালক এবং অভিনেতা এ বিষয়ে কেউই কিচ্ছু বলেননি।

রহস্যের জট ছাড়াতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল ওয়েব সিরিজের ফেলুদা টোটা রায়চৌধুরীর সঙ্গে। পাঠক-মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, হঠাৎ টোটা কেন? কারণ, সিরিজে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ফেলুদা হওয়ার সময় তিনি একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, অন্তত এক বারের জন্য বড় পর্দায় ‘ফেলুদা’ হতে তিনি সন্দীপ রায়ের বাড়ির সামনে তাঁবু ফেলতেও রাজি। ধারালো মগজাস্ত্রের কারবারি কিন্তু পাল্টা প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘সত্যিই কি অনির্বাণই ‘ফেলুদা’ হচ্ছেন?’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘ছবির ক্যালেন্ডার মুক্তির পরে আটটি ছবির পরিচালকেরা আলাদা করে সমস্ত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির পোস্টার বা ফার্স্ট লুক নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও এক বার পোস্ট করেছেন। সেই তালিকায় কিন্তু অনির্বাণও আছেন। তাঁর পরিচালনায় ‘বল্লভপুর’ মুক্তি পাবে চলতি বছরেই।’’

আবীর চট্টোপাধ্যায় আবারও অরিন্দম শীলের আগামী ছবিতে ব্যোমকেশ। অনির্বাণ ফেলুদা হলে কেমন হবে? টোটার মনখারাপ হবে? সিরিজের ‘ব্যোমকেশ’ না বড় পর্দার ‘ফেলুদা’, কোনটায় এগিয়ে রাখবেন তিনি অনির্বাণকে? সিরিজের ‘ফেলুদা’র সাফ জবাব, ‘‘খুব খুশি হব। প্রথমত, সিরিজে আমি ফেলুদা হয়েছি। তাই একে বারে না হওয়ার আক্ষেপ আর নেই। দ্বিতীয়ত, অনির্বাণ অত্যন্ত প্রতিভাবান। কী অভিনেতা, কী পরিচালনায়। ‘মুখোশ’ ছবিতে কাজ করতে গিয়েই বুঝেছি। আর বাঙালির ‘ব্যোমকেশ’ কিন্তু আবীর। ঠিক যে ভাবে এত দিন ‘ফেলুদা’ মানেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী। তাই আমি অনির্বাণকে ‘নব্য ফেলুদা’ হিসেবেই এগিয়ে রাখব।’’

আরও পড়ুন
Advertisement