বিয়ের পিঁড়ি থেকে পালালেন শ্রীমা!
হইচই ফেলে দিয়েছেন শ্রীমা ভট্টাচার্য। কথা ছিল গৌরব চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করবেন। বিয়ের সন্ধ্যায় তিনি হাত ধরলেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের! সালঙ্কারা শ্রীমা বধূবেশে লম্বা ঘোমটার আড়ালে মুখ ঢেকে সোজা গাড়িতে। পরিবারকে কলঙ্কিত করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি! এ দিকে তাঁর প্রতীক্ষায় বরবেশে বিয়ের পিঁড়িতে অধৈর্য গৌরব। ভট্টাচার্য পরিবারের গিন্নি ‘চন্দ্রা’ ওরফে তনুকা চট্টোপাধ্যায় লজ্জায় যখন আত্মহনন করতে চলেছেন, তখনই সেখানে উপস্থিত শোলাঙ্কি রায়। কনে কি তবে বদলাতে চলেছে?
আপাতত আগামী সাত দিন এমনই টানটান উত্তেজনা স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’কে ঘিরে। ধারাবাহিকে গৌরব শহরের প্রথম সারির হিরে ব্যবসায়ী সিংহ রায় পরিবারের বড় ছেলে ‘ঋদ্ধিমান’। ঋদ্ধিমানের পছন্দ ভট্টাচার্য পরিবারের বড় মেয়ে ‘দ্যুতি’ ওরফে শ্রীমাকে। কিন্তু দাদার পছন্দ যে বরাবর কেড়ে নেওয়ার অভ্যেস মেজ ছেলে ‘রাহুল’ ওরফে অনিন্দ্যর! ধনী পরিবারের ‘ক্যাসানোভা’রও তাই চাই ‘দ্যুতি’কে। অতএব বিয়ের দিন মণ্ডপ থেকে সে উঠিয়ে নিয়ে যায় তার প্রিয়তমাকে। পরিবারের সম্মান বাঁচাতে সবাই বিয়ের পিঁড়িতে জোর করে বসিয়ে দেয় মেজ মেয়ে ‘খড়ি’ ওরফে শোলাঙ্কিকে। এ দিকে, তার সঙ্গে যে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক ‘ঋদ্ধিমান’-এর!
চিত্রনাট্যের কারণে ছোট পর্দায় শ্রীমা এ ভাবেই নজর কেড়েছেন সবার। একই সঙ্গে আরও এক বার চর্চায় তাঁর বাস্তব জীবন। পর্দায় তাঁর দোসর অভিনেতা অনিন্দ্য। বাস্তবে কে? টেলিপাড়া বলছে, গৌরব রায়চৌধুরী একদা তাঁর খুব ‘কাছের জন’ ছিলেন। সে সব অনেক দিন অতীত। এর পরেই সায়ন্ত মোদককে জড়িয়ে গুঞ্জন শোনা যায় শ্রীমার নামে। সায়ন্ত আর শ্রীমা এর আগে ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’য় একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। টলিপাড়ার গুঞ্জন, সেই আলাপই নাকি নতুন ভাবে ধরা দিয়েছে তাঁদের জীবনে। সেই সময়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘সায়ন্তর সঙ্গে আমার মা-ছেলের সম্পর্ক। ও আমায় মা বলে ডাকে। সংবাদমাধ্যম কিছুই না জেনে অকারণে গুজব ছড়াচ্ছে।’’