Welfare Association of Television Producers

Federation vs WATP: ভয় দেখিয়ে কলাকুশলীদের কাজ বন্ধ করা হচ্ছে, প্রযোজকদের দাবি নস্যাৎ করল ফেডারেশন

শুরু থেকেই ফেডারেশনের বক্তব্য ছিল, বাড়ি থেকে শ্যুট করা হলে শুধু প্রযোজক এবং অভিনেতাদের ঘরে টাকা আসবে। কলাকুশলীরা কিছুই পাবেন না।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২১ ১৩:৩৪
‘শ্যুট ফ্রম হোম’ নিয়ে বিভক্ত টেলিপাড়া।

‘শ্যুট ফ্রম হোম’ নিয়ে বিভক্ত টেলিপাড়া।

হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে হুমকি। সেই বিজ্ঞপ্তি এল আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে। এই বিজ্ঞপ্তির শুরুতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাড়ি থেকে ধারাবাহিকের পর্ব শ্যুট করার প্রক্রিয়ায় কলাকুশলীরা যদি অংশগ্রহণ করেন তা হলে তাঁদের সদস্যপদ বাতিল হবে বা তাঁদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে। প্রোডিউসর্স গিল্ডের অভিযোগ, এ ভাবে কলাকুশলীদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রযোজকদের বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে ফেডারেশন। যদিও ফেডারশনের সভাপতি আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন, ‘‘ফেডারেশন এমন ‘কঠোর ব্যবস্থা’-র কথা কোথাও বলেনি। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। ফেডারেশনকে মিথ্যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।’’

ফলে ফেডারেশনের সঙ্গে প্রোডিউসর্স গিল্ডের (ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশ অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স) তরজা অব্যাহত। লকডাউনে ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ প্রক্রিয়ায় কলাকুশলীদের ভূমিকা নিয়ে বিভক্ত টেলিপাড়ার ২ সংগঠন। এমন অবস্থায় তাঁদের উদ্দেশে এক প্রকার অভয়বাণী দিয়ে নতুন এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন প্রযোজকরা।

গিল্ডের অন্তর্ভুক্ত প্রযোজকরা জানিয়েছেন, গতবারের মতো ৩০%-৪০% নয়, প্রত্যেককে তাঁদের পুরো পারশ্রমিক দিয়ে এই দুঃসময়ে সাহায্য করতে চান তাঁরা। কিন্তু ধারাবাহিকগুলির নতুন পর্ব সম্প্রচার হলেই একমাত্র তা সম্ভব হবে। মূলত সেই কারণেই ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ পদ্ধতিতে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তাঁরা।

Advertisement
ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশ অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স-এর বিজ্ঞপ্তি।

ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশ অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স-এর বিজ্ঞপ্তি।

যত দিন লকডাউন চলবে, তত দিন পর্যন্ত অভিনেতাদের সঙ্গে অল্প সংখ্যক কলাকুশলীকে নিয়ে শ্যুট করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রযোজকদের দাবি, কলাকুশলীদের ভয় দেখানো হচ্ছে এই বলে যে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কাজে ফেরানো হবে না সকলকে। ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ পদ্ধতিতেই নাকি কাজ চলবে তখনও। যার ফলে প্রাপ্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হতে পারেন অনেকেই। এই ধরনের কথাকে ‘অযৌক্তিক’ বলে উড়িয়ে দিয়ে প্রযোজকদের আশ্বাস, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার সকলকে নিয়ে আগের মতো করে কাজ শুরু হবে টেলিপাড়ায়। তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য যদি কোনও কলাকুশলী কর্মহীন হয়ে পড়েন, তাঁকে তাঁর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্বও নিতে প্রস্তুত প্রযোজকরা।

শুরু থেকেই ফেডারেশনের বক্তব্য ছিল, বাড়ি থেকে শ্যুট করা হলে শুধু প্রযোজক এবং অভিনেতাদের ঘরে টাকা আসবে। কলাকুশলীরা কিছুই পাবেন না। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিন কয়েক আগে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রোডিউসর্স গিল্ড। সেখানে জানানো হয়, ধারাবাহিকের নতুন পর্ব সম্প্রচারিত হলে পারিশ্রমিক পাবেন ইউনিটের সকল সদস্য। ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ হওয়ায় যে সব কলাকুশলী কাজ করতে পারবেন না, বঞ্চিত হবেন না তাঁরাও। এর পরেও ফেডারেশনের সঙ্গে বিবাদ না মেটায় কলাকুশলীদের আরও একবার ভরসা জোগাতে ময়দানে নামলেন প্রযোজকরা।

আরও পড়ুন
Advertisement