(বাঁ দিকে) ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবিতে ধর্মেন্দ্র-শাবানা আজমি, জাভেদ আখতার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় দু’দশক আগে ‘ফায়ার’ ছবিতে সমকামী সম্পর্কে অভিনয় করে ঝড় তুলেছিলেন শাবানা আজমি। বিস্তর বিতর্ক হয় ওই ছবিকে ঘিরে। এ বার ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবিতে ধর্মেন্দ্রের ঠোঁটে ঠোঁট রাখলেন শাবানা। তবে এ বার কোনও বিতর্ক নয়, বরং দর্শককে খানিকটা চমকে দিয়েছেন দুই বর্ষীয়ান অভিনেতা। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে ছুতমার্গ রয়েছে ভারতীয় মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির অভিনেতাদের। যদিও প্রায় ১৮ বছর আগে এই ধারণা ভেঙেছিলেন ধর্মেন্দ্রই। ‘লাইফ ইন আ… মেট্রো’ ছবিতে নাফিসা আলির সঙ্গে চুম্বনরত দৃশ্যে দেখা যায় তাঁকে। এ বার ফের পর্দায় শাবানা-ধর্মেন্দ্র চুম্বন। ছবি দেখে কি আপত্তি জানালেন? নাকি খানিকটা বাধো বাধো ঠেকল শাবানার স্বামী জাভেদ আখতারের?
শাবানার কথায়, ‘‘আমি দেখছি প্রেক্ষাগৃহে সকলে হাততালি দিচ্ছে, হাসছে আমাদের চুম্বনের দৃশ্য দেখে। শুটিংয়ের সময় কোনও রকমের অস্বস্তি বোধ হয়নি। ধর্মেন্দ্রর মতো এমন একটা সুপুরুষকে চুম্বনের সুযোগ কে-ই বা হাতছাড়া করবে!’’ তবে স্ত্রীকে ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন জাভেদ আখতার! শাবানা জানান, অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দেখে একেবারেই অস্বস্তি হয়নি জাভেদের। তবে অস্বস্তি হয়েছিল শাবানার পর্দায় চরিত্রায়ণ দেখে। বাস্তবের শাবানার সঙ্গে কোনও মিলই নেই। জাভেদের কথায়, ‘‘পর্দার শাবানা যেন চিনতেই পারছি না। আমার পাশে যে বসে আছে তার আর পর্দার শাবানার মধ্যে বিস্তর ফারাক।’’
এ প্রসঙ্গে ধর্মেন্দ্রের মত, ভালবাসার কোনও বয়স হয় না। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মনে হয়, যে কোনও বয়সের মানুষ তাঁর ভালবাসার মানুষের প্রতি এ ভাবেই অনুভূতি জানান। এই দৃশ্যে শুট করার সময় আমি কিংবা শাবানা, কেউ-ই বিন্দুমাত্র অস্বস্তি অনুভব করিনি।’’ পাশাপাশি নাফিসা আলির সঙ্গে চুম্বনের প্রসঙ্গে টেনে বলেন, ‘‘শেষ বার যখন নাফিসাকে চুম্বন করি, দর্শক খোলামনে গ্রহণ করেছিলেন। তবে সব সময় একটা চাপ থাকে আগের বারের তুলনায় ভাল করার।’’ বলেই হাসি অভিনেতার।