তখন আমার বয়স মাত্র ৯। তখন থেকে বাপ্পিদাকে চিনি। ওঁর তৈরি গান গেয়েছি, ‘দিল সে মিলে দিল কা’। সেই থেকে ওঁদের পরিবারের একজন হয়ে গিয়েছিলাম। তখন বাপ্পিদা ছোট বাড়িতে থাকতেন। সেই বাড়িতে রোজ যেতাম গান শিখতে।
বাপ্পিকে নিয়ে কলম ধরলেন বিজয়েতা পণ্ডিত।
২৭ নভেম্বর শেষ দেখা বাপ্পি লাহিড়ির সঙ্গে। সে দিন ওঁর জন্মদিন। বাপ্পিদার বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমি, আমার দিদি সুলক্ষ্মণা পণ্ডিত। বাপ্পিদা মানেই প্রচণ্ড হইচই, আনন্দ। আর নানা ধরনের বাঙালি রান্না। সে দিন ভাবতেই পারিনি এটাই দাদার শেষ জন্মদিন। এ ভাবে সবাইকে বাড়িতে ডেকে আর আনন্দে মাতবেন না।
তখন আমার বয়স মাত্র ৯। তখন থেকে বাপ্পিদাকে চিনি। ওঁর তৈরি গান গেয়েছি, ‘দিল সে মিলে দিল কা’। সেই থেকে ওঁদের পরিবারের একজন হয়ে গিয়েছিলাম। তখন বাপ্পিদা ছোট বাড়িতে থাকতেন। সেই বাড়িতে রোজ যেতাম গান শিখতে। গান তুলতে। আমার সৌভাগ্য, আমার প্রথম ছবি ‘লাভ স্টোরি’র সুরকার রাহুল দেববর্মন। দ্বিতীয় ছবি ‘মহব্বত’-এর সুরকার বাপ্পিদা। দু'টি ছবিই সুপারহিট। দু'টি ছবির গানই আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে। এ ছাড়া, ওঁর প্রচুর গান আমার দিদি আর আমি গেয়েছি।
টলিউডেও আমার আর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জুটি হিট বাপ্পিদার দৌলতেই। 'অমরসঙ্গী'-র সব গান হিট! বাংলায় এলে এখনও শুনতে পাই কোথাও না কোথাও বাজছে, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’। আবার আমার ছবিতে আমাকে দিয়েই গাইয়েছিলেন ‘মনটা আমার হারিয়ে গেছে তা মানি না'। ওই একটি ছবি, একাধিক গান আজও আমায় বাঙালিদের কাছে আপন করে রেখেছে। রাহুলদার পরে তাঁর প্রায় সমসাময়িক একমাত্র বাপ্পিদাই ছিলেন। তিনিও চলে গেলেন। বলিউডে স্বর্ণযুগের সুরকারদের আসন ফাঁকা। তালিম দেওয়ার মতো গুণীজন আর কেউ রইলেন না।