বাঁ দিকে (অক্ষয় কুমার) ডান দিকে (টুইঙ্কল খন্না) ছবি : সংগৃহীত।
এক পত্রিকার ফোটোশুট করতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। তার পর সেই প্রেম গড়ায় বিয়ের মণ্ডপ পর্যন্ত। প্রায় ২২ বছরের দাম্পত্য অক্ষয় কুমার-টুইঙ্কল খন্নার। বলিউডের অন্যতম সফল তারকা জুটি তাঁরা। তবে ২২ বছরের বিবাহিত জীবনে কত কিছুই ঘটেছে তাঁদের জীবনে। কিন্তু সম্পর্কে প্রভাব পড়েনি। টুইঙ্কল-অক্ষয় যে একে অপরের সবচেয়ে ভাল বন্ধু, এ কথাও অনেকে মেনে নেন।। দীর্ঘ দিন হল অভিনয়ের ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন টুইঙ্কল। বরং লেখিকা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। অন্য দিকে, বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে অক্ষয় এখন অনেক পরিণত। তবে তাঁদের বিয়ের সময় কম বিতর্ক হয়নি। কারণ, সে সময় সম্পর্কের ক্ষেত্রেও অক্ষয় ছিলেন ‘খিলাড়ি’। একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। কোনও প্রেম সেটেই শেষ হয়ে যায়। আবার কোনও প্রেম বাগ্দান পর্যন্ত গড়িয়েও ভেঙে যায়। তাই টুইঙ্কলের সঙ্গেও সম্পর্কটা ছাঁদনাতলা পর্যন্ত পৌঁছবে কি না, তা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ ছিল। এত দিন পর অক্ষয়কে বিয়ে করার আসল কারণ জানালেন টুইঙ্কল।
আরভ-নিতারার বাবা অক্ষয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ টুইঙ্কল। আসলে তাঁকে বিয়ে করার সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে ‘বাবা’ অক্ষয়ের। স্বামীকে জড়িয়ে ধরে একটি ছবি দিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘মিস্টার কে-কে বিয়ে করার অন্যতম কারণ, জানতাম ও খুব ভাল বাবা হবে। দেখেছিলাম কী ভাবে ও নিজের পরিবারের খেয়াল রাখে। চেয়েছিলাম যেন আমার ছেলে-মেয়েরা এই বংশগত গুণ পাক। আর পঞ্চাশ বছরের এই মানুষটাকে যখন এখন দেখি, ভাবি আমার ছেলে-মেয়েরা ভাগ্যবান হবে যদি সত্যিই ওর থেকে কিছু পায়। ও সব সময় নিজের পরিবারকে নিজের চেয়েও বেশি প্রাধান্য দিয়েছে।...”
স্ত্রীর কাছে এমন প্রশংসা পেয়ে অক্ষয় বলেন, ‘‘সন্তানরা যদি কারও জিন পেয়ে থাকে, তা হলে বুদ্ধি পেয়েছে তোমার কাছ থেকে।’’ পাশাপাশি জানান, স্ত্রী টুইঙ্কলের কারণে সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে নিশ্চিন্ত অভিনেতা।