ইশা সাহা।
এই প্রজন্ম নাকি ‘কমিটমেন্ট ফোবিয়া’য় ভোগে? দূরে থাকতে ভালবাসে 'বিয়ে' নামক প্রতিষ্ঠান থেকে?
সমসাময়িক এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসছে পরিচালক অঞ্জন কাঞ্জিলালের প্রথম ছবি ‘সহবাসে’তে। বসন্ত পঞ্চমীর আগের সন্ধেয় মুক্তি পেয়েছে মোজোটেল এন্টারটেনমেন্ট নিবেদিত এই ছবির ট্রেলার। সরস্বতী পুজোর রাতে ছবি নিয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে অনর্গল মুখ্য অভিনেতা ইশা সাহা। ট্রেলার দেখে অনেকেই বলছেন, ‘সহবাসে’ নাকি অভিনেত্রীর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হতে চলেছে। কারণ, এই ছবিতে চেনা ছক নাকি অনেকটাই ভেঙেছেন ইশা। কথাটা নায়িকা লুফে নিলেন সঙ্গে সঙ্গে, এই ছবিতে ‘প্রজাপতি বিস্কুট’-এর নরমসরম ঘরোয়া মেয়ে বা সোনাদার সহকারি পাশের বাড়ির মেয়ে ‘ঝিনুক’-এর থেকে অনেক আলাদা তিনি। লুক এবং চরিত্রে তিনি হয়ত অনেকটাই অচেনা। তার পরেই ইশার যুক্তি, তিনি আদতে অভিনেতা। তাই এক ধরনের চরিত্রে নিজেকে আটকে রাখতে রাজি নন। বরং চরিত্রে যত বেশি স্তর বা রং থাকবে, ততই তিনি নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন।
‘সহবাসে’ কি ‘লিভ ইন’ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাল ইশাকে? অভিনেতার স্পষ্ট জবাব, ‘‘আমার কাছে সহবাস বা বিয়ের থেকেও সম্পর্কে বেশি জরুরি প্রেম থাকা। সেটা বিয়েতেই হোক বা লিভ ইনে। কারণ, এমন অনেককে দেখেছি, লিভ ইন করে ভীষণ ভাল আছেন। আবার অনেক বিয়েতে বাকি সব আছে, ভালবাসাটাই নেই।’’
এই প্রসঙ্গে ইশার স্বীকারোক্তি, তিনিও কমিটমেন্ট ফোবিয়ায় ভোগেন, ‘‘আমার মধ্যেও এই ভয় কাজ করে। কোনও সম্পর্কে যাওয়ার আগে দশ বার ভাবি। ভয় পাই, দায়িত্ব অনেক বেড়ে যাবে। আমার সঙ্গে অভিনীত চরিত্রের এটাই একমাত্র মিল। এছাড়া, ‘সহবাসে’ আলাদা করে কোনও ছাপ ফেলেনি।’’
‘সহবাসে’ দর্শক-মন বদলাতে পারবে? ঝকঝকে উত্তরে, ‘‘আগের প্রজন্ম লিভ ইন-কে হয়তো খুব সহজ ভাবে মেনে নিতে পারবেন না। কারণ, তাঁরা লিভ ইন দেখে অভ্যস্ত নন। বরং, এই প্রজন্ম সহজেই নিজেদের খুঁজে পাবে ছবিতে।’’
ইশার বিপরীতে দেখা যাবে অনুভব কাঞ্জিলালকে। তাঁদের ঘিরে রয়েছেন, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, তুলিকা বসু, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, দেবলীনা দত্তের মতো বাঘা বাঘা অভিনেতা। গানঘর সামলানোর দায়িত্বে সৌম্যঋত। কণ্ঠে রূপঙ্কর বাগচী, শুভমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্নিবার সাহা, সায়নী। ছবির কাহিনীকার ও প্রযোজক সুমনা কাঞ্জিলাল। সিনেমাটোগ্রাফার মধুরা পালিত। ১২ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।