টমের প্রথম ম্যানেজার ছিলেন এইলিন। প্রায় ৪০ বছর আগে তাঁরা দু’জন শেষ বার কাজ করেছেন। ১৯৮৬ সালে ‘টপ গান’ ছবি মুক্তি পর্যন্ত টমের পেশার খুঁটিনাটি সামলানোর দায়িত্ব ছিল এইলিনের কাঁধে। এইলিনের কথায়, ‘‘টম খুবই বদমেজাজি। চোখের পলকে যা খুশি তাই করে দিতে পারে।’’
টম ক্রুজ
২০২০ সালে হলি তারকা টম ক্রুজের আচরণে বিক্ষুব্ধ হয়ে একাধিক কলাকুশলী ‘মিশন ইম্পসিবল ৭’-এর কাজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কোভিড বিধি মেনে কাজ হচ্ছে না বলে দাবি দিয়ে সকলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন টম। সেই প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুললেন ক্রুজের প্রাক্তন ম্যানেজার এইলিন বার্লিন। বিস্তারিত তথ্য দিয়ে তাঁর সমালোচনা করলেন সংবাদমাধ্যমে। ‘হার্ট থ্রব’ টমের ব্যক্তিত্বের অন্ধকার দিক উঠে এল এইলিনের কথায়।
টমের প্রথম ম্যানেজার ছিলেন এইলিন। প্রায় ৪০ বছর আগে তাঁরা দু’জন শেষ বার কাজ করেছেন। ১৯৮৬ সালে ‘টপ গান’ ছবি মুক্তি পর্যন্ত টমের পেশার খুঁটিনাটি সামলানোর দায়িত্ব ছিল এইলিনের কাঁধে।
এইলিনের কথায়, ‘‘টম খুবই বদমেজাজি। চোখের পলকে যা খুশি তাই করে দিতে পারে। তখন মনে হত, বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে।’’ একটি পুরনো ঘটনার কথা উল্লেখ করলেন এইলিন।
টমের ১৯তম জন্মদিনে একটি পত্রিকায় তাঁর সম্পর্কে লেখা প্রকাশ করানোর বন্দোবস্ত করেছিলেন এইলিন। কিন্তু টম সেই পত্রিকার অ্যালবামটি ছুড়ে মারেন এইলিনের দিকে। ১৯ বছরের টম চিৎকার করে উঠেছিলেন, ‘‘কোনও কৈশোরদের নিয়ে প্রকাশিত কোনও পত্রিকায় নিজের নাম চাই না আমি!’’ এইলিনের কথায়, তিনি নিজেকে তখন থেকেই প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে দেখতে চাইতেন। সেই রাগে অ্যালবাম ছুড়ে মারেন টম। এইলিন গালে আঘাত পান।
কেবল এই দু’টি ঘটনা নয়, টমের বিরুদ্ধে তাঁর বদমেজাজ সম্পর্কিত একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন তারকারা। এখনও পর্যন্ত টম যদিও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।