টলিপাড়ার নতুন ‘সত্যবতী’ রুক্মিণী মৈত্র। —ফাইল চিত্র।
‘নটী’র পর রুক্মিণী মৈত্রের মুকুটে আরও এক নতুন পালক। এ বার শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্ট সত্যবতীর চরিত্রে দেখা যাবে নায়িকাকে। সোহিনী সরকার, ঋদ্ধিমা ঘোষ, ঊষসী চক্রবর্তীর পর এ বার রুক্মিণী। অনেক দিন ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন ছিল। বেশ কিছু দিন আগে ব্যোমকেশ ছবির ঘোষণা করেন দেব। বিরসা দাশগুপ্তর পরিচালনায় বড় পর্দায় আসতে চলেছে ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’। এই ছবির মাধ্যমেই প্রথম বার ব্যোমকেশ রূপে দর্শকের সামনে আসবেন দেব আর সত্যবতী রূপে রুক্মিণী। এর আগে অনেক নামই উঠে এসেছিল। অনেকে ভেবেছিলেন, অভিনেত্রী মৌনী রায় কিংবা পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাবে সত্যবতীর চরিত্রে। অবশেষে দু’দিন আগে নতুন চরিত্রের কথা নিজেই ঘোষণা করলেন নায়িকা। এই ঘোষণার পর থেকে দর্শক মহলে সমালোচনার শেষ নেই।
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় রুক্মিণীর সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমি সমালোচনা নিয়ে যতটা না ভাবি, তার থেকেও বেশি ভাবি কাজ কতটা ভাল ভাবে করা যায়। সত্যবতীর চরিত্রের ক্ষেত্রেও তাই। আর ব্যোমকেশের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির সঙ্গে যুক্ত হওয়া সত্যিই বড় ব্যাপার। বিরসার (দাশগুপ্ত) কথায়, ও সত্যবতীর চরিত্রে প্রথম দিন থেকে আমাকেই চেয়েছিল। আমাদের চিত্রনাট্যকার শুভেন্দুদা (দাশমুন্সি)-ও তাই বলেছেন। এটা আমার কাছে বিশাল পাওনা। একটা সত্যি কথা, আমার শরদিন্দু পড়া নেই। তবে চরিত্রটাকে বোঝার চেষ্টা করছি। দামিনী বেণী বসুর কাছে ওয়ার্কশপ করছি। মানুষের সমালোচনার কথা নিয়ে ভাবলে কাজই করতে পারব না।”
ছবির প্রথম লুক প্রকাশ্যে আসার পর থেকে বিপুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দেবকেও। অনেকেরই বক্তব্য, ‘আ্যামাজ়ন অভিযান’-এর লুক আর ব্যোমকেশের লুকের মধ্যে তো কোনও পার্থক্যই বোঝা যাচ্ছে না। যদিও এমন কোনও কথায় কান দেওয়ার সময় নেই নায়কের। একের পর এক ছবি নিয়ে তিনি তুমুল ব্যস্ত। ব্যোমকেশের পর পুজোয় মুক্তি পাবে ‘বাঘাযতীন’। আপাতত সেই ছবি নিয়ে ব্যস্ত নায়ক। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ব্যোমকেশের শুটিং।