রানি মুখোপাধ্যায় এবং অদ্রিজা রায়। ছবি: সংগৃহীত।
এই মুহূর্তে কর্মসূত্রে তিনি মুম্বইনিবাসী। কারণ সম্প্রতি শুরু হয়েছে হিন্দি সিরিয়াল ‘ইমলি’। সিরিয়ালে নামভূমিকায় অভিনয় করছেন টলিপাড়ার নায়িকা অদ্রিজা রায়। এই প্রথম তাঁর পুজো কেটেছে কলকাতার বাইরে। তবে মুম্বইয়ে পুজোর দিনগুলো খুব খারাপ কাটেনি অভিনেত্রীর। মুম্বইয়ে ঠাকুর দেখার ফাঁকেই রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে অভিনেত্রীর। কী কথা হল দু’জনের? জানালেন অভিনেত্রী।
নর্থ বম্বে সর্বজনীন দুর্গোৎসব মুম্বইয়ের অন্যতম চর্চিত পুজো।‘মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজো’ নামেও লোকমুখে এই পুজোর সুখ্যাতি রয়েছে। অষ্টমীর দিন প্রতিমা দর্শন করতে এই পুজো মণ্ডপেই হাজির হয়েছিলেন অদ্রিজা। সামনে তখন রানি মুখোপাধ্যায়। দু’জনের সেই ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অদ্রিজা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দেবীমূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রানি এবং অদ্রিজা। অদ্রিজার পরনে লাল পাড় সাদা শাড়ি। সঙ্গে মানানসই গয়না।
রানির সঙ্গে কী কথা হল অভিনেত্রীর? আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে অদ্রিজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অভিনেত্রী বললেন, ‘‘আসলে ওঁর বৌদির (জ্যোতি মুখোপাধ্যায়) সঙ্গে আমি ‘দুর্গা চারু’ সিরিয়ালে অভিনয় করি। উনিই আমাকে আমন্ত্রণ করেছিলেন।’’ অষ্টমীতে অঞ্জলি দেওয়ার জন্যই ইউনিটের কাছে আগাম ছুটি চেয়েছিলেন অদ্রিজা। বললেন, ‘‘আমি মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করছি। আমার ছুটি মানে পুরো ইউনিটের ছুটি। ওঁরা যে আমাকে এতটা সাহায্য করেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’’
পুজোয় রানির ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। কিন্তু তার মধ্যেও আলাদা করে অদ্রিজার সঙ্গে কথা বলেছেন আদিত্য চোপড়ার ঘরনি। অদ্রিজা বললেন, ‘‘দু’জন বাঙালি এক জায়গায় হাজির হলে যা হয়, অনেক ক্ষণ গল্প করেছি।’’ অদ্রিজার তরফে রানির কাছে প্রশ্ন ছিল, তিনি কি সিরিয়াল দেখেন? উত্তরে রানি জানান, সেই ভাবে সিরিয়াল দেখার সময় পান না। অদ্রিজার কথায়, ‘‘আমাকে উনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এটা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।’’ পুজো মণ্ডপে কিছুটা দেরিতে পৌঁছনোয় রানির সঙ্গে বসে ভোগ খেতে পারেননি অদ্রিজা। তবে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির দেবিকার সঙ্গে ধুনুচি নাচে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানালেন অদ্রিজা।
এই প্রথম কলকাতার বাইরে পুজো কাটালেন অদ্রিজা। মনখারাপ হয়েছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু কাজকে তিনি অগ্রাধিকার দিতেই আগ্রহী। বললেন, ‘‘এখানেও আমার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে চেনা-পরিচিতি হয়েছে। তাঁদের সঙ্গেই সময় কেটেছে। আমার কাঁধে এখন বড় দায়িত্ব। আগামী বছর নিশ্চয়ই আরও ভাল পুজো কাটবে।’’