বাংলায় শুরু হল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবির প্রদর্শন। লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে কি আদৌ? ছবি: সংগৃহীত।
৫ মে মুক্তি পায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ঠিক চার দিন পর ৮ মে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছবিকে নিষিদ্ধ করেন। তার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা শুরু হয়। সমাধানসূত্র পেতে ছবির নির্মাতারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। ১৮ মে শীর্ষ আদালত এই নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। কলকাতায় নিজের ছবির প্রচারে আসেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন ও অভিনেত্রী অদা শর্মা। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও হল না পাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন তাঁরা। অবশেষে বাংলায় শুরু হল এই ছবির প্রদর্শন। এই মুহূর্তে বনগাঁর ‘শ্রীমা’ হলে চলছে ছবিটি। বাংলার একমাত্র হল যেখানে দেখানো হচ্ছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। কেমন চলছে, কতটা আয় হচ্ছে, দর্শকের মধ্যেই বা প্রতিক্রিয়া কেমন? খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
এই প্রসঙ্গে হলের ম্যানেজার স্বপন দাস বলেন, ‘‘এত দিন তো নিষেধাজ্ঞা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের সম্মান জানিয়েই এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে নিষেধাজ্ঞা উঠতেই শো শুরু করা হয়েছে। তবে খুব যে আহমরি কোনও বুকিং রয়েছে এমনটা নয়। আসছে দর্শক দেখতে। যেমনটা ভাবা হয়েছিল, ততটা লাভ হয়নি।
মাত্র ১৯ দিনে প্রায় ২০০ কোটির ব্যবসা করেছে এই ছবি। তবে বনগাঁর হলে কতটা ব্যবসা করতে পারল ছবিটি? স্বপনের কথায়, ‘‘তেমন কোনও ব্যবসা এখনও হয়নি। যে রকম বাজার হওয়ার কথা ছিল, তেমন কিন্তু হচ্ছে না।’’ তা হলে কি নামিয়ে ফেলা এই ছবি? খানিকটা আমতা আমতা সুরেই হল ম্যানেজার বলেন, ‘‘এটা ছবির পরিবেশকের হাতে।’’
এই প্রসঙ্গে পরিবেশক শতদীপ সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বনগাঁর ঘটনা আমি জানি না। আমি কোনও প্রিন্ট দিইনি, কে কী করছে, বলতে পারব না। আমি জানিই না কোথায় চলছে।’’
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে ছবির প্রযোজক বিপুল অম্রুতলাল শাহ বলেন, ‘‘বাংলা পুলিশ-প্রশাসন হুমকি দিচ্ছেন হল মালিকদের। কিন্তু তাঁরা প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছেন না। তাঁরা এই ছবিটা হলে শো দিতে চাইছেন, কিন্তু পারছেন না। শীর্ষ আদালতের অবমাননা করা হচ্ছে।’’ তবে এ বার কি শ্রীমার মতো বাংলার অন্যান্য হলেও একে একে মুক্তি পাবে এই ছবি? না কি অপেক্ষা করতে হবে ওটিটিতে আসার?