নতুন বছরে যে যার পথ আলাদা করে নিয়েছেন তারা এবং আদর। ছবি: সংগৃহীত।
আদর জৈনের সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর চাউর হওয়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন তারা সুতারিয়া। কোনও এক কাজে দিল্লি যাচ্ছিলেন। মুম্বই বিমানবন্দরে তাঁকে দেখা যেতেই ছেঁকে ধরেছিলেন আলোকচিত্রীরা।
হাঁটু অবধি কালো পোশাক, তার উপর চাপানো বাদামি কোট, পায়ে কালো বুট। ঝলমল করছিলেন তারা। চোখে কালো রোদচশমা। হাসিমুখেই ক্যামেরায় পোজ় দিলেন উড়ান ধরার আগে। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ হারাতে চাইলেন না আলোকচিত্রীরা। এক জন তারাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “যে খবরটা পেলাম সেটা কি সত্যি? বিচ্ছেদ ...”
কী বললেন তারা? কিছুই না। তার মুখে অল্প হাসি ফুটে উঠল। চোখে চশমা থাকায় আরও যেন নিজেকে লুকোতে পারলেন তারকা। কিছুই বললেন না মুখে।
গত কয়েক মাস ধরে বলিউডে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল সেই প্রেমকাহিনি। গাড়ি থেকে নামছেন, কিংবা একসঙ্গে হোটেলে ঢুকছেন, নিদেনপক্ষে পার্টিতে— তারার সঙ্গে বার বার দেখা যাচ্ছিল আদরকে। মুখে যতই কুলুপ আঁটুন, দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিয়েছিলেন সকলেই। তবে নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেই দুঃসংবাদ মিলেছিল। এর মধ্যেই নাকি বিচ্ছেদ!
বিচ্ছেদের খবর আরও স্পষ্ট করে দিয়েছিল, প্রেমেই ছিলেন জুটি। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বছরের শেষেই চলছিল প্রস্তুতি। নতুন বছরে যে যার পথ আলাদা করে নিয়েছেন তারা আর আদর। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা অত্যন্ত সাবধানে পা ফেলছেন বলেও জানা যায়। ভুলেও সমাজমাধ্যমে একসঙ্গে ছবি পোস্ট নয়। প্রকাশ্যে পরস্পরের পিঠ চাপড়াতেও দেখা যায়নি তাঁদের।
কেন এত গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইতেন? তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। সম্ভবত কেরিয়ারে যাতে ছাপ না পড়ে সে জন্যই। আবার কেউ কেউ মনে করেন, তাঁদের নিজেদেরই এই সম্পর্ক নিয়ে নিশ্চয়তা ছিল না। কিছু দিন উপর উপর সময় কাটালেন।
তবে ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বক্তব্য, “তাঁরা দু’জনেই পরিণত। বুঝেশুনেই যা করার করেছেন। প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদ হলেও তাঁদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যাবে এমন নয়। তাঁরা বন্ধুই থাকবেন।”