ট্রোলের মুখে সুজয়।
সদ্য মাতৃহারা সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। তবু কটাক্ষ থেকে রেহাই নেই তাঁর!
সোমবার ফেসবুকে তাই সরব সুজয়। অভিনেতা-বাচিক শিল্পীর অনুযোগ, ‘দু’একদিন আগে এক সুপরিচিত বর্ষীয়ান অভিনেতা একটি কফি শপে দু’টি ভাঁড়ের সঙ্গে বসে আমায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আলোচ্য বিষয়, আমার "জনসংযোগের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাবাদের নানান কল্পিত দৃষ্টান্ত"।’ সঞ্চালকের দাবি, এই তিন "ব্যক্তি" জানতেন না অনতিদূরে তাঁর এক শুভাকাঙ্ক্ষী বসেছিলেন। তিনি সবটাই শুনেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে নিয়ে করা কটাক্ষ কানে পৌঁছেছে সুজয়ের।
বহু দিন ধরেই নিন্দকদের দৃষ্টি তাঁর উপরে। তাঁর চলন, বলন, কথন এবং তাঁর জনসংযোগ তাদের চর্চার উপকরণ। এই কারণে তিনি প্রতি পদে সমালোচিত। তা বলে এমন কঠিন সময়েও ছাড় নেই তাঁর? এই অনুচ্চারিত প্রশ্নই যেন সুজয় ছুঁড়ে দিয়েছেন লেখায়। এ-ও লিখেছেন, ‘ভারমুক্ত হওয়ার জন্য এটা লিখিনি। শুধু জানালাম, আমায় ‘অনাথ’ মনে করার কোনও কারণ নেই। ‘আমার’ এখনও ‘আমি’ আছে।’
সঙ্গে সঙ্গে সুজয়ের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন বহু জন। তালিকায় রয়েছেন ঊর্মিমালা বসু, সুদীপা চট্টোপাধ্যায়, রাজনীতিবিদ সুজাতা মণ্ডল, মানসী সিংহ, সুদর্শন চক্রবর্তী, অদিতি বসু রায়ের মতো বিশিষ্টরা। পাশে দাঁড়িয়েছেন অসংখ্য অনুরাগীও। প্রত্যেকেই নিন্দক, সমালোচকদের উপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
রবি ঠাকুরের গানের পংক্তিতে শক্তি জুগিয়েছেন ঊর্মিমালা। মানসী পাশে দাঁড়িয়েছেন কবিতার ভাষায়। সুদীপা লিখেছেন, এই মুহূর্তে মায়ের চির বিদায়ে মনটা খুবই নরম শিল্পীর। তাই এখন কোনও রকমের অনুভূতি প্রকাশ না করাই ভাল। কারণ, এখন অল্প আঘাতও বেশি মনে হবে। তাঁর বিশেষ পরামর্শ, ‘যে করে হোক সময়টাকে পার করে দিতে হবে। তোমার কষ্ট। অন্য আর কেউ অনুভব করতে পারবে না। তাই সবার মাঝে বলে লাভ কী?’