জাহ্নবী কপূর এবং শ্রীদেবী। ছবি: সংগৃহীত।
আশির দশকের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা তিনি। ‘নাগিনা’ বা ‘চাঁদনি’ হোক, অথবা ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’— শ্রীদেবী নজর কেড়েছিলেন দর্শকের। এমনকি, ‘ইংলিশ ভিংলিশ’, ‘মম’-এর মতো ছবিতেও ‘হাওয়া হাওয়াই গার্ল’-এর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন অনুরাগীরা। তাঁরই বড় মেয়ে জাহ্নবী কপূর। ছোটবেলা থেকে মাকে পর্দায় দেখে বড় হয়েছেন জাহ্নবী। স্বাভাবিক ভাবেই, বড় হয়ে অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে সেই জাহ্নবীর সেই স্বপ্ন পূরণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর মা শ্রীদেবী নিজেই। মেয়ে বলিউড অভিনেত্রী হোক, এমনটা নাকি একেবারেই চাননি শ্রীদেবী!
সম্প্রতি কর্ণ জোহরের ‘কফি উইথ কর্ণ’-এ বোন খুশি কপূরের সঙ্গে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন জাহ্নবী। সেখানেই এই প্রসঙ্গ তোলেন কর্ণ। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে শ্রীদেবী জানিয়েছিলেন, জাহ্নবী অভিনয়কে পেশা হিসাবে বেছে নিক, তা একেবারেই চাননি তিনি। তা হলে বড় মেয়ের জন্য ঠিক কী স্বপ্ন দেখেছিলেন শ্রীদেবী? নায়িকা বলেছিলেন, ‘‘জাহ্নবী অভিনয় করতে চেয়েছিল, আমি প্রাথমিক ভাবে তাতে রাজি হইনি। বলিউড যে খারাপ জায়গা, আমি তা বলতে চাইনি। আমি নিজেই এই জগতের অংশ। তবে মা হিসাবে আমি বেশি খুশি হতাম যদি জাহ্নবী বিয়ে করে সংসার করত। কিন্তু আমার মেয়ে আনন্দই আমার কাছে সবচেয়ে দামি। ও যদি অভিনয় করে খুশি হয়, তা হলে আমিও তাতেই খুশি।’’
কফি-আ়ড্ডায় এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কর্ণকে জাহ্নবী জানান, তাঁর মা তাঁর অভিনয় করার স্বপ্ন নিয়ে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত না হলেও বোন খুশির ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না শ্রীদেবীর মনে। জাহ্নবী জানান, শ্রীদেবী ভেবেছিলেন বিনোদন জগতের জন্য তাঁর চেয়ে খুশি বেশি মানানসই। ২০২৩ সালে ‘দি আর্চিজ়’-এর মাধ্যমে বলিউডে অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন খুশি।