সোহেল খানের সঙ্গে কেন বিয়ে ভাঙল সীমা সজদেহর? ছবি: সংগৃহীত।
তারকা দম্পতিদের বিয়ে ভাঙে কেন? বেশির ভাগ সময়ই কাঠগড়ায় ওঠে পরকীয়া। সীমা সজদেহ কিন্তু মনে করেন, একেবারেই তা নয়। পরকীয়া নাকি বিয়ে ভাঙার জন্য দায়ী নয়। বিয়ে ভাঙে অন্য কারণে। যেমন তাঁর আর সোহেল খানের বিচ্ছেদ। সলমন খানের প্রাক্তন ভ্রাতৃবধূর এই উক্তি নতুন করে ভাবনায় ফেলেছে বলিউডকে। হঠাৎ করে কেনই বা তিনি সরব এ বিষয়ে? কোনও কারণে কি তিনি অনুশোচনায় ভুগছেন?
১৯৯৮-এ বিয়ে। ২০২৪-এ বিচ্ছেদ। দীর্ঘ ২৬ বছর একটানা এক ছাদের নীচে বলেই কি ভালবাসায় ভাটা?
সাম্প্রতিক আলাপচারিতায় প্রকৃত সত্য সামনে এনেছেন সীমা। তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জটিল দাম্পত্য সম্পর্ককে। যার জেরে তাল কেটে যায় বন্ধুত্বের, নড়ে যায় বিশ্বাসের ভিত। সীমা উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, “আমরা প্রত্যেকে রক্তমাংসের মানুষ। বিয়ের পরেও তাই একাধিক মানুষকে ভাল লাগতেই পারে। এটাই মনস্তত্ব বলে। এর মধ্যে দোষের কিছু নেই।” তিনি আরও জানিয়েছেন, সম্পর্কে না জড়িয়েও স্বামী বা স্ত্রী পরকীয়া করতে পারেন। তিনি মনে মনে অন্য নারী বা পুরুষের কথা ভাবলেও তা পরকীয়ার সমান। এই আচরণও সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা সামিল।
এই জায়গা থেকে খান পরিবারের প্রাক্তন বধূর যুক্তি, দাম্পত্য কতটা সফল হবে পুরোটাই নির্ভর করে জীবনযাত্রার উপরে। কোনও কারণে একবার যদি যাপিত জীবন বেসুরো হয়ে যায়, তা হলেই সমস্যা। তাকে আবার সুরে ফেরানো খুবই কষ্টের। এ প্রসঙ্গে আবারও তিনি নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়েছেন। সীমা বলেছেন, “বিয়ের পর আমি প্রতি পদক্ষেপে সোহেলের উপরে অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলাম। সব কিছুই ওর উপরে চাপিয়ে নিজে যেন ঝাড়া হাত-পা! এই আচরণ সঠিক নয়।” তাঁর মতে, এই অতিরিক্ত নির্ভরতা তাঁদের সম্পর্কে ছায়া ফেলেছিল। সীমা এ-ও জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে এ বিষয়ে সচেতন না হলে তিক্ত দাম্পত্যের জের এসে পড়ে সন্তানদের উপরেও। যা একেবারেই কাম্য নয়।