ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের জন্মদিনে ইমন চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
ইন্দ্রদীপদার জন্মদিনে নিজের জন্মদিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। গানের রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’র সেটে আমার জন্মদিনের আগের দিন সকলকে খাইয়েছিলেন দাদা। বলেছিলেন, ‘সবাইকে নিমন্ত্রণ করে বল, বাবার বাড়ি থেকে খাবার আসবে’। ওঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক এ রকম। আমারও এ রকমই কিছু করা উচিত ছিল। সেটা হচ্ছে না। কারণ, পেশার কারণে আমি শিলিগুড়িতে। ইন্দ্রদীপদা আমার কাছে পিতৃতুল্য। পান থেকে চুন খুসলে বকেন, ধমকান। এই বকুনি ভালবাসা থেকেই আসে। সারা ক্ষণ বাবার মতো আগলে রাখেন। ওঁর থেকে অনেক কিছু শিখেছি।
মুখোশহীন, ভণিতাহীন এক মানুষ। যা মনে আসবে মুখের উপরে বলে দেবেন। ইন্দ্রদীপদা যে কী প্রচণ্ড রাগী, যিনি মিশেছেন তিনিই জানেন। অনেকে তার জন্য ভুলও বোঝেন ওঁকে। ইদানীং, নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করছেন। খাওয়াতেও রাশ টেনেছেন। এ সবের পরে ইন্দ্রদীপদা যেন আগের তুলনায় অনেক শান্ত। দাদা তো গানের বাইরে আর কারও প্রেমে পড়লেন না! এখন মনে হচ্ছে, নিজের প্রেমেই পড়েছেন। সঙ্গীত পরিচালক বা ছবি পরিচালক নন, এই মানুষটাকে আমি বেশি ভালবাসি।
ওঁর ঝুলিতে অনেক মনছোঁয়া গান। তার মধ্যে আমার বাছাই দুটো গান— ‘অসতো মা সদ্গময়’, ‘ও জীবন তোমার সাথে’। প্রথমটি গেয়েছেন অরিজিৎ সিংহ। দাদার সঙ্গে খুব বেশি কাজ করিনি। ওঁর সঙ্গে তার পরেও এত স্নেহের সম্পর্ক। বরং বেশি কাজ করেছেন অরিজিৎ। পরস্পর যেন আত্মার দোসর! ইন্দ্রদীপদার দর্শন কেবল অরিজিৎ ধরতে পারেন। গানের গভীরে ঢুকতে পারেন। অনেকটা আমার আর অনুপম রায়ের যুগলবন্দি যেমন।