সায়নী ও কঙ্গনা
কঙ্গনাহীন টুইটারে আনন্দে মাতলেন টলিউডের অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। একে তো তাঁর দল, তৃণমূল বাংলার নির্বাচন জিতেছে। তার উপরে টুইটারে কঙ্গনা রানাউতের অনুপস্থিতি— সব মিলিয়ে খুশি সায়নী। যদিও নিজে বিধায়ক পদ জিততে পারেননি। কিন্তু সে হার এখন তাঁর কাছে নগণ্য।
বাংলার নির্বাচনের জের কাটেনি এখনও। ফলাফল নিয়ে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে বিধ্বস্ত নেটমাধ্যম। এই জল আটকে নেই কেবল বাংলার পরিধিতে। গোটা দেশে চলছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি সমর্থক কঙ্গনা রানাউতের একের পর এক টুইটে ছেয়ে যায় নেটমাধ্যম। তারই মধ্যে টুইটারের বিধি লঙ্ঘন করার জন্য অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। তার পর থেকে টুইটার কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। কেউ কেউ টুইটারে আনন্দোৎসব পালন করছেন। কেউ আবার টুইটার কর্তৃপক্ষকে এক হাত নিচ্ছেন। প্রথম দলে অংশ নিলেন সায়নী ঘোষ।
Bengal rejects BJP
— Saayoni ghosh (@sayani06) May 4, 2021
Twitter suspends Kangana.
One at a time..clear all that trash.#BengalShowsTheWay
টুইটার থেকে কঙ্গনার বিদায় এবং বাংলায় বিজেপি-র পরাজয়কে মিলিয়ে দিলেন তিনি। লিখলেন, ‘বাংলা বিজেপিকে তাড়াল, টুইটার কঙ্গনাকে, এক এক করে সমস্ত ময়লা সাফ হচ্ছে।’
টুইটার কর্তৃপক্ষের দাবি, ব্যক্তি নির্বিশেষে তাঁরা তাঁদের নিয়ম মেনে চলেন। এ ক্ষেত্রেও তাই। মুখপাত্রের কথায়, ‘‘আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলাম, কোনও পোস্ট থেকে বড় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তার বিরুদ্ধে আমরা পদক্ষেপ করব। নীতি লঙ্ঘন করার জন্য উল্লিখিত অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’’
যদিও তাতেই টুইটার ছাড়াও অন্য হাতিয়ার রয়েছে তাঁর কাছে। যার সাহায্যে নিজের মতামত পেশ করবেন। যার মধ্যে অন্যতম, চলচ্চিত্র শিল্প। এ সব ঘটনার আগেই কঙ্গনার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ পায়। যেখানে তাঁকে কাঁদতে দেখা যায়। তিনি বলছেন, ‘‘বাংলায় যে ভাবে হত্যালীলা চলছে, ধর্ষণ চলছে, তা দেখে আমি থাকতে পারছি না আর। গণতন্ত্রের এ কী হাল!’’ তাঁর প্রশ্ন অনুরাগীদের কাছে, ‘‘তা হলে কি এ বার থেকে দেশদ্রোহীরাই দেশ চালাবে?’’