ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আসছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
১০১তম জন্মদিনে ঘোষণা হয়েছিল, তিনি আসছেন। আনন্দবাজার অনলাইন জানতে পেরেছে, ১০৪তম জন্মদিনের আগে বড় পর্দায় ফিরছেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ফেরাচ্ছেন পরিচালক কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, ‘যমালয়ে জীবন্ত ভানু’ ছবির মাধ্যমে। নামভূমিকায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ভানুপত্নী ‘নীলিমা দেবী’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবলীনা দত্ত। আগামী ২৬ অগস্ট প্রয়াত অভিনেতার জন্মদিনে ছবি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক জানিয়েছেন, দলের সকলের তেমনই ইচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শাশ্বতের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা।
একটা সময় সাধারণ মানুষের ভুল ধারণা ছিল, শাশ্বত ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে! সেই জায়গা থেকেই কি তাঁকে বাছা হল?
প্রশ্ন ছিল পরিচালকের কাছে। কৃষ্ণেন্দুর কথায়, ‘‘আরও একটি কারণ ছিল। শাশ্বতদার বাবা প্রয়াত অভিনেতা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় ভানুবাবুর খুব কাছের মানুষ ছিলেন। ফলে, অনেক ছোট থেকেই শাশ্বতদা ভানুবাবুকে দেখেছেন। সেটা জানতাম বলেই ওঁকে বেছে নিলাম। পরে দেখলাম, ভুল সিদ্ধান্ত নিইনি। সেটে পা রাখলেই তিনি চরিত্র হয়ে উঠতেন।’’ কৃষ্ণেন্দু আরও জানিয়েছেন, প্রযোজক সুমন কুমার দাস তাঁকে কেবল ছবির নামটি দিয়ে জানিয়েছিলেন, বাকিটা তাঁকে সামলে নিতে হবে। প্রয়াত অভিনেতা সম্পর্কে বিশদে জানতে একাধিক বই পড়েন পরিচালক। পড়তে পড়তে দেখেন, পর্দার পিছনেও মানুষটির কর্মকাণ্ড বিশাল। জীবনী ছবিতে এত বড় জীবন তুলে ধরা সম্ভব নয় বলেই ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত ‘যমালয় জীবন্ত মানুষ’-এর ছোঁয়াটুকু রেখে ছবি সাজিয়েছেন তিনি।
প্রফুল্ল চক্রবর্তী পরিচালিত ১৯৫৮ সালের ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ ছবিতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় সশরীরে স্বর্গে গিয়ে ‘হামহাম গুড়িগুড়ি’ নাচ দেখিয়েছিলেন। এখন গেলে কী করতেন?
প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেছেন পরিচালক। জানিয়েছেন, নির্ঘাত যমরাজকে বলতেন, বাংলা ছবি বেশি করে দেখার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আর মর্ত্যে থাকলে? জবাব এল, ‘‘ভানুবাবু বাংলা বিনোদন দুনিয়ার স্তম্ভ। উনি থাকলে বছরে খান চারেক ছবি উপহার দিতেন। আমাদের তা হলে ‘বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান’ বলতে হত না।’’