সলমন খানের বাবা-মায়ের বিয়েতে ধর্ম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল? ছবি: সংগৃহীত।
ছাঁদনাতলায় যাননি। তবে নিজের পরিবার নিয়ে সুখী সলমন খান। প্রায়শই পারিবারিক জমায়েত হয়। সেই সব মুহূর্ত সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন সলমন। কিন্তু এই সুখী পরিবারের নেপথ্যেও রয়েছে নানা ঘটনা। সলমনের বাবা-মা অর্থাৎ, সেলিম খান ও সালমা খানের বিয়ের পথ নাকি খুব মসৃণ ছিল না। সলমনের মা ছিলেন হিন্দু পরিবারের মেয়ে। বিয়েতে কি ভিন্ধর্মই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল? এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনাই তুলে ধরেছেন ভাইজান।
ইদে মুক্তি পাচ্ছে সলমনের ছবি ‘সিকন্দর’। ঘটা করে ইদ পালন করেন বলি তারকা। আবার তাঁর বোন অর্পিতা খানের বাড়িতে গণেশ পুজোও হয় ধুমধাম করে। বলিউডের তারকারা উপস্থিত থাকেন সেই পুজোয়। সলমনও যোগ দেন। তাই ধর্মীয় ভেদাভেদে যে ভাইজান একেবারেই বিশ্বাসী নন, তা সর্বজনবিদিত। কিন্তু বাবা-মায়ের সম্পর্কে কি ধর্ম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল? সলমন নিজেই জানিয়েছেন, ভিন্ধর্মী হলেও, তা নিয়ে কোনও সমস্যাই ছিল না সেলিম ও সালমার। বরং সমস্যা তৈরি হয়েছিল বাবা সেলিম খানের পেশা নিয়ে।
সলমন বলেছেন, “হিন্দু ও মুসলিম সংস্কৃতির পার্থক্য নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। তার চেয়েও বড় সমস্যার বিষয় ছিল, বাবা চলচ্চিত্র জগতের মানুষ ছিলেন বলে।” চলচ্চিত্র জগতে নিশ্চয়তার অভাব আছে বলেই সালমা খানের পরিবার প্রথমে রাজি ছিলেন না এই বিয়েতে।
‘ডন’ ও ‘শোলে’র মতো ছবিতে কাজ করেছেন সেলিম খান। ১৯৬৪ সালে সালমা খানকে বিয়ে করেছিলেন সেলিম। তাঁদের চার সন্তান— সলমন, সোহেল, আরবাজ় ও অলভিরা খান। ১৯৮১ সালে দ্বিতীয় বার বিয়ে করে হেলেনকে সংসারে নিয়ে আসেন সলমন খান। তবে দুই স্ত্রীর মধ্যে নাকি সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে বলেই শোনা যায়।