সেফ আলি খানের সঙ্গে পোশাক শিল্পী অভিষেক রায়। ছবি: দেবর্ষি সরকার।
গত এক বছর ধরে এ ভাবেই সাজছেন নবাবপুত্র। একটা দিন সইফ আলি খান মা শর্মিলা ঠাকুরের ধারা বজায় রেখে আপাদমস্তক বাঙালি। তবে, কখনও ধুতি-পাঞ্জাবিতে সুপুরুষ। কখনও তাঁর পাঞ্জাবির সঙ্গতকার আলিগড় পাজামা। আলোর উৎসব অভিনেতার কাছে ছুটির আমেজ। পরিবারের সকলকে নিয়ে জড়িয়ে থাকা। জানা গিয়েছে, এই সময় তিনি স্ত্রী করিনা কপূর খান, দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ্কে নিয়ে মলদ্বীপ উড়ে গিয়েছেন। ১ নভেম্বর ফিরবেন মুম্বই। তার পরেই নবাব বাড়িতে শুরু হবে উল্লাস, উৎসব। তখন তিনি নিজে সাজবেন, দুই সন্তানকে সাজাবেন পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়ের সম্ভারে।
সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করতেই অভিষেক জানালেন, গত বছর থেকে তিনি সইফকে সাজাচ্ছেন। বললেন, “গত বছর খাঁটি সুতি পরেছিলেন। এ বার সইফ জানালেন তিনি তসর বা সিল্কের পাঞ্জাবি পরবেন। ওঁর ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়ে চারটি পাঞ্জাবি তৈরি করেছি, খয়েরি, নীল, সমুদ্র সবুজ আর তসররঙা।” তিনটেই পরেছেন পতৌদি-শর্মিলার পুত্র। পোশাক শিল্পী আরও জানিয়েছেন, খুব বেশি কাজ তিনি পছন্দ করেন না। তাই কোনওটায় হাল্কা সুতোর আড়ি কাজ, কোনওটায় সাবুদানা। তসরের পাঞ্জাবির সঙ্গে রং মিলিয়ে লাল সুতোর সরু নক্সা করা ধাক্কা পাড়ের ধুতি বেছেছেন সেফ। নীল পাঞ্জাবির সঙ্গে একই রঙের ধুতি। খয়েরি পাঞ্জাবি একেবারেই ছিমছাম। তাতে কোনও কাজ নেই।
আরাম কেদারায় বসে আলস্যে দিন যাপনের জন্য একদম ঠিকঠাক। এই পাঞ্জাবিতে তাই আলিগড় পাজামার যুগলবন্দি।
তা হলে দীপাবলিতে কী পরবেন? অভিষেক বলেছেন, “সমুদ্র সবুজ পাঞ্জাবিতে সাদা সুতোর আড়ি কাজ, সেটিই পরবেন তিনি। ওই দিন তাঁর দুই ছেলেও একই সাজে সাজবে সম্ভবত।” বাড়িতে খানাপিনার এলাহি আয়োজন, বাড়িতে আমন্ত্রিতের ভিড়— সব থাকবে। বাজি পোড়াতেও ভালবাসেন। ছেলেদের এবং পরিবারের বাকিদের নিয়ে আলোর বাজি পোড়াবেন হয়তো। করিনা সাজবেন না অভিষেকের সাজে? মৃদু হেসে পোশাক শিল্পীর জানিয়েছেন, সে সবও তৈরি হচ্ছে। তবে এর বেশি আপাতত কিছু বলা নিষেধ।