স্নেহা খুশি যে, ভারতীয় টিভি শো-তে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। ছবি—ইনস্টাগ্রাম
দর্শক তাঁকে চিনেছিল ‘সাথ নিভানা সাথিয়া ২’ থেকে। এই ধারাবাহিকে গেহনা পটেলের চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি পান স্নেহা জৈন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, ভারতীয় টিভি শো অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। তাঁর মতে, একটা সময় শাশুড়ি-বৌমার গল্পই দর্শক পছন্দ করত। আজকের দিনে ছবিটা পাল্টেছে। অনেক বেশি প্রগতিশীল এবং বহুমাত্রিক নারীচরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। দর্শক পছন্দও করছেন সেটা।
অভিনেত্রী বলেন, “প্রথমে ছিল গতে বাঁধা শাশুড়ি-বৌমার গল্প। যেখানে স্বামী কাজের জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়, আর স্ত্রী ঘর সামলায়। কিন্তু এখন অনেক নারীচরিত্রই স্বাধীন, তারা ঘর এবং বাইরের কাজ, দুটোই সামলাচ্ছে। এমনকি ‘সাথ নিভানা সাথিয়া ২’-তে আমি এক জন বধূর চরিত্র করেছিলাম যে কি না পেশায় আইনজীবী।”
অভিনেত্রী বলেন, “এখন আমরা ‘দিয়া অউর বাতি’-র মতো ধারাবাহিক দেখি, যেখানে নারীর স্বপ্ন পুলিশ অফিসার হয়ে ওঠা। সে তার স্বামীর সমর্থন পাচ্ছে, পড়াশোনার কাজে স্বামীর সহায়তা পাচ্ছে। অনেক কিছুই পাল্টে গিয়েছে, বিশেষত শাশুড়ি-বৌমার গল্পের ধারণা।”
স্নেহা খুশি যে, ভারতীয় টিভি শো-তে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। তাঁর কথায়, “অনেক বেশি প্রগতিশীল হয়েছে এখন। দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। গৃহবধূ হওয়া তোমার ইচ্ছে, কিন্তু তুমি যদি বাইরের কিছু কাজ করতে চাও, সেটাও করতে পারো। সে তোমার অধিকার।”
পর্দায় নারীচরিত্রের ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্নেহা জানান, “দিয়া অউর বাতি’-তে নারীর মহিমা প্রকাশের এবং ক্ষমতায়নের যে ছবি দেখেছেন, তা সত্যিই প্রশংশনীয়। এমনকি ‘ব্যারিস্টার বাবু’-তেও। অনেক ধারাবাহিকেই মহিলাদের ক্ষমতায়নের বিষয়টা আসছে। এই অনুষ্ঠানগুলো ইতিহাস তৈরি করছে। কারণ, স্নেহার মতে, “নারীর এই ক্ষমতায়ন মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে। ‘অনুপমা’তেও খুব দৃঢ় নারীচরিত্র দেখানো হচ্ছে, বিষয়বস্তু চমৎকার।”
তিনি জানান, যে ইন্ডাস্ট্রিতে এমন সব চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে, যার অংশ হতে পেরে তিনি গর্বিত। দর্শকের থেকেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন, ভাল লাগছে স্নেহার। তাঁর মতে, এই ধরনের গল্প নিয়ে আরও কাজ হওয়া উচিত। প্রত্যন্ত এলাকায়, যেখানে মহিলারা ততটা স্বাধীন নন, তাঁদের কাছেও এগুলো বার্তা পৌঁছে দিতে পারে।
স্নেহা বললেন, “নারী হিসাবে অন্য নারীকে এবং যে কোনও মানুষকে আমাদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত, যাতে তাঁরা নিজেদের অধিকারের জোরে বাঁচতে পারেন।”