রবিবার সাদামাঠা শাড়ি পরে ঘোমটা টেনে দাঁড়িয়ে শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী।
ফেসবুকে দু'টি ছবি। সেই সূত্র ধরেই রহস্য ফাঁস। রবিবার সাদামাঠা শাড়ি পরে ঘোমটা টেনে দাঁড়িয়ে শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। কেন এমন সাজ? আনন্দবাজার অনলাইনকে সে দিন শিল্পী জানিয়েছিলেন, তিনি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন। সেই সূত্রেই এই অভিনব রূপসজ্জা। যা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার লোভ সামলাতে পারেননি তিনি। বুধবার ফেসবুকে আরও এক সাজে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রূপঙ্করের ঠোঁটের উপরে পেল্লায় পাকানো গোঁফ। গালে আঁচিল, চোখে চশমা। সঙ্গে মন্তব্য, ‘এ বার কিন্তু কামড়ে দেব!’
ছবি আর মন্তব্য দেখে লোপামুদ্রা মিত্র, জোজো মুখোপাধ্যায় সহ বহু জন জানতে ইচ্ছুক, প্রকৃত ঘটনা কী? আনন্দবাজার অনলাইনকে তারই জবাবে রূপঙ্কর জানিয়েছেন, ‘‘একটি ওয়েব সিরিজ হচ্ছে ‘জমিদার বাড়ির রহস্য’ নামে। রহস্য-রোমাঞ্চধর্মী এই সিরিজে আমিই গোয়েন্দা। তাই নানা রূপে আমায় দেখতে পাওয়া যাবে। তারই দু'টি রূপ আপাতত অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম।’’ এটুকু বলার পরেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন গায়ক-অভিনেতা। পরিচালক কে, বাকি অভিনেতা কারা এবং প্রযোজনা সংস্থা বা কোন প্ল্যাটফর্মে সিরিজটি আসছে-- এ সব বশয়ে কিছুই আর বলেননি।
গান যদি পেশা এবং ভালবাসা হয়, জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পীর নেশা অভিনয়। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি নাটকের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর ‘কৃষ্টি পটুয়া’ নাট্য সংস্থা একাধিক নাটক মঞ্চস্থ করেছে। দেবালয় ভট্টাচার্যের ‘বিদায় ব্যোমকেশ’ ছবিতে, স্টার জলসার ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। নেশা কি তবে পেশা হচ্ছে? নাকি সঙ্গীত জগতে আপাত ভাটার টান বলেই অভিনয়ে ঝুঁকছেন? রূপঙ্করের সাফ জবাব, ‘‘অবসরে অভিনয় করতে ভালবাসি। এটাই আমার বিনোদন। তাই চরিত্র পছন্দ হতেই রাজি হয়ে গিয়েছি। পেশা পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনাই নেই।’’