বাপ্পির স্মৃতিচারণে রুনা।
লতা মঙ্গেশকর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পর বাপ্পি লাহিড়ি। খ্যাতনামী সুরকার-গায়কের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মহল। শিল্পীর এমন আকস্মিক চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউই। ফেসবুকে সে অনুভূতিই উঠে এল বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার স্মৃতিচারণে।
ফেসবুকে রুনা লিখেছেন, ‘বাপ্পি লাহিড়ির প্রয়াণ সংবাদে আঘাত পেয়েছি খুব। মন বিষাদমাখা। এত বড় প্রতিভাবান সুরকার ও শিল্পী। তাঁর সঙ্গে কাজের স্মৃতি মনে ভিড় করছে। বেশ কিছু ছবিতে, অ্যালবামে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। ‘সুপারুনা’ অ্যালবাম তো ছিল সুপারহিট। সারা পৃথিবী জুড়ে কত জায়গায় শো করে বেরিয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা তিনি ছিলেন বন্ধুর মতো। রসিক মানুষ। সব সময়ে আনন্দে ভরপুর। এত তাড়াতাড়ি তাঁকে বিদায় জানাতে মন সায় দিচ্ছে না। এখনও অনেক কাজ তাঁর করার কথা ছিল।’
ফেসবুকে লেখার পাশাপাশি বাংলাদেশ গণমাধ্যমে রুনা লায়লা তুলে ধরেছেন বাপ্পি লাহিড়ির সঙ্গে তাঁর কাজের অমূল্য স্মৃতিগুলি। ১৯৮২ সালে সুপারহিট পপ অ্যালবাম ‘সুপারুনা’র রেকর্ডিং হয়েছিল লন্ডনের অ্যাবি রোড স্টুডিওতে। এক সময়ের বিখ্যাত ব্যান্ড ‘বিটলস’-এর সদস্যরা সেখানেই গান রেকর্ড করতেন। ফেসবুকে রুনা লায়লা আবেগ-বিহ্বল। লিখেছেন— ‘বাপ্পিজির সঙ্গে সেই স্টুডিয়োয় রেকর্ডিংয়ের স্মৃতি চিরকাল মনে পড়বে। ‘সুপারুনা’ অ্যালবামটি প্রকাশের দিনেই এক লাখ কপি বিক্রি হয়েছিল।’
বাপ্পির সুরে ছবির কাজ নিয়েও লিখেছেন রুনা। জানিয়েছেন, ‘১৯৭৯ সালে প্রকাশ কপূর পরিচালিত বলিউডের ‘জান-এ-বাহার’ ছবিতে বাপ্পিজির সুরে একটি গান গেয়েছিলাম— ‘মার গায়ো রে রসগোল্লা খিলাই কে মার গায়ো রে’। মহম্মদ রফির সঙ্গে। আনন্দ কুমারও কণ্ঠ দেন এই গানে।...মনে পড়ছে আমার পছন্দের আর একটি গান, ‘ইয়াদগার’ ছবির ‘অ্যায় দিলওয়ালে আও’। নায়ক নায়িকা ছিলেন কমল হাসন ও পুনম ধিলন।"
ফেসবুকে রুনার লেখার শেষ অংশটি যেন লক্ষ লক্ষ সঙ্গীতানুরাগীর মনের কথা— ‘কয়েক দিনের ব্যবধানে লতা দিদি ও সন্ধ্যা দিদির পরে এ বার বাপ্পিজিকে চিরবিদায় জানাতে হচ্ছে। শোক প্রকাশের ভাষা নেই। কাঁদব কতটা? আমি একেবারে স্তম্ভিত। এই শোকের সান্ত্বনা হয় না।’