রশ্মিকা মন্দনা। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার এক ডিপফেক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। নভেম্বর মাসের সেই ঘটনায় এ বার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন বছর ২৪-এর এক যুবক। কেউ বলছেন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতা করা হয়েছে তাঁকে। কারও দাবি, উত্তরপ্রদেশ থেকে ধরা হয় তাঁকে। ধৃতের নাম ইমানি নবীন। তিনি অন্ধ্রের গুন্টুর জেলার বাসিন্দা। ঠিক কোন উদ্দেশ্য নিয়ে রশ্মিকার ছবিতে কারসাজি করেছিলেন, জানা গেল তা। সেই সঙ্গে রশ্মিকাও জানালেন তাঁর প্রতিক্রিয়া।
গত নভেম্বরে একটি এক ব্রিটিশ-ভারতীয় সমাজমাধ্যম প্রভাবীর ভিডিয়োয় প্রযুক্তিগত কারচুপি করে রশ্মিকার মুখ জুড়ে দেওয়া হয়। গত ১০ নভেম্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৯ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনের ৬৬সি এবং ৬৬ই ধারায় দিল্লি পুলিশের তরফে দায়ের করা হয়েছিল এফআইআর। প্রায় ৫০০ প্রোফাইল ঘেঁটে খুঁজে বার করা হয় মূলচক্রীকে। কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন তিনি? পুলিশের জেরার মুখে নবীন স্বীকার করেন, তিনি অভিনেত্রীর বিরাট বড় অনুরাগী। জানিয়েছেন, রশ্মিকার একটি ফ্যানপেজ চালাতেন তিনি। তা হলে এমন কুরুচিকর কাজ কেন? নবীনের জবাব, ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর নেশাতেই তিনি এই কাজ করেছিলেন। তার ফলও পান তিনি। ফলোয়ার বাড়ে। তবে পরে পুলিশের ভয়ে সব তথ্য মুছে দিলেও পার পাননি তিনি।
অন্য দিকে, দিল্লি পুলিশের সক্রিয়তা দেখে তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রশ্মিকা। ইনস্টাগ্রামের পাতায় লেখেন, ‘‘অভিযুক্তকে আটক করার জন্য ধন্যবাদ। এমন একটা সময়ে সকলের সমর্থন পেয়ে কৃতজ্ঞ আমি। পাশপাশি, সমস্ত যুবক-যুবতীকে মনে করিয়ে দেব যে, কারও অনুমতি ছাড়া তাঁর ছবি বা ভিডিয়ো ব্যবহার করা উচিত নয়।’’