সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
খবরটা শোনার পর থেকে কী অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে বলে বোঝাতে পারব না। খুব আনফরচুনেট। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ছোটবেলার যে খুব বেশি স্মৃতি আছে তেমন নয়। তবে যেটুকু আছে, তা খুবই সুন্দর। ওঁর কাছ থেকে অনেক আদর, যত্ন পেয়েছি। একদম নিজের মেয়ের মতো ভালবাসতেন আমাকে। মনে হচ্ছে, আমি যেন আরও একবার নিজের মা-কে হারালাম। কোনও দিন ওঁকে উঁচু গলায় কথা বলতে শুনিনি। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো গ্রেসফুল আর ডিগনিফায়েড মহিলা আমি খুব কম দেখেছি।
বাবার (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়) সঙ্গে ওঁর সম্পর্কের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। দু’জনেই দু’জনকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন। বাংলা গানের জগতে উনি ইনস্টিটিউশনের মতো ছিলেন। যেমন আধুনিক গান গাইতেন, তেমনই ক্লাসিক্যালও। উনি তো সঙ্গীতের মা ছিলেন। বাইরে থাকতাম বলে খুব বেশি দেখাসাক্ষাৎ হত না। হয়তো কলকাতায় এসে কোনও রেকর্ডিংয়ে দেখা হল। তবে আমাদের বাড়িতে ওঁর যাতায়াত তো ছিলই। একটা ছোট্ট ঘটনা মনে পড়ছে। আমার খুব ঘন আর লম্বা চুল ছিল। আমার মা-কে বলে দিতেন কেমন করে চুলের যত্ন নেওয়া উচিত। বলতেন, ‘‘বেলাদি, ওর মাথায় আগে তেল মাখিয়ে দেবে, তার পর বলবে ওয়াশ করতে।’’
প্রথমে লতা মঙ্গেশকর তার পর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়... দেবী সরস্বতীর দুই কন্যা পরপর চলে গেলেন!