কোথায় চোখ আটকে গেল রাখির? ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর পরনে হালকা পিচ রঙের ব্লক প্রিন্টের চুড়িদার, গলায় ওড়না। বর্তমান প্রজন্মের নায়িকাদের মতো চোখে রোদচশমা? নাহ, সে সবের বালাই নেই। তিনি রাখি গুলজ়ার। রূপটানের নামমাত্র নেই, তাঁর ঠোঁটের কোণায় একচিলতে হাসিতেই যেন আলোকিত বিমানবন্দর চত্বর। পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই গাড়িতে উঠলেন। রয়েছেন শহরের এক বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানেই যেন রাখি গুলজ়ার খুঁজে পেলেন অন্য এক রাখিকে।
সাংবাদিকেরা এমনিতেই খানিক সমঝে চলেন তাঁকে। রাখি অবশ্য মুম্বই থেকে কলকাতায় এসে ফোটোশিকারিদের সঙ্গে স্নেহবৎসল ভঙ্গিমায় আলাপচারিতা সারেন। সন্ধ্যায় তাঁর ছবি ‘আমার বস্’ ছবির ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠান।
হোটেলে ঢুকে বিশ্রাম নিয়ে চলে শাড়ি বাছাই পর্ব। কোনও পোশাকশিল্পী নন, নিজের শাড়ি এখনও নিজেই বেছে নেন। এমনিতেই রাখির শাড়ি সংগ্রহের কথা অনেকেরই জানা। মুম্বইয়ে যখন তিনি একেবারে দাপিয়ে কাজ করছেন তখনও শাড়ি কিনতেন কলকাতা থেকেই। সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে শাড়ি বাছাই পর্ব যখন চলছিল, তখনই হাতে পেলেন সাদাকালো একটা ছবি। কপালে বড় টিপ, মাঝখানে সিঁথি, কাজলকালো চোখ, পরনে সিফন শাড়ি। খানিক ক্ষণ ধরে তাকিয়ে দেখলেন পুরানো সেই রাখিকে। তার পর অস্ফুটে বলে উঠলেন, ‘‘এই ছবি আমার ‘পিঘলতা আসমান’ ছবির সময় তোলা।’’ ১৯৮৫ সালেমুক্তি প্রাপ্ত এই ছবিতে রাখি জুটি বেঁধেছিলেন শশী কপূরের সঙ্গে। খানিক যেন স্মৃতিমেদুর হলেন রাখি গুলজ়ার।