Producer Rituparna Sengupta

নায়িকা ঋতুপর্ণা ‘হাউসফুল’ বোর্ডেই অভ্যস্ত, প্রযোজক ঋতুপর্ণা বিষয়টি উপভোগ করছে! দাবি তাঁর

ছবিমুক্তির প্রথম দিন থেকে ‘পুরাতন’ হাসি এনেছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মুখে। আগামীতে কি তা হলে প্রযোজক রূপেই বেশি ধরা দেবেন তিনি?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৪০
প্রযোজক হয়ে বেশি খুশি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত?

প্রযোজক হয়ে বেশি খুশি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত? ফাইল চিত্র।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত কিছু প্রশ্ন নিয়ে চষে ফেলছেন কলকাতার প্রায় প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহ। বলা ভাল ‘প্রযোজক’ ঋতুপর্ণা! কী প্রশ্ন তাঁর? ‘পুরাতন’ দেখে কত জনের চোখ শুকনো থাকল? শহর কলকাতা যেন আস্ত বৃদ্ধাশ্রম— এমন যাঁদের দাবি, এই ছবি কি তাঁদের ভাবনায় ইন্ধন জোগালো? তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছুটছেন ছবির নায়ক ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, পরিচালক সুমন ঘোষ। ১৪ বছর পরে যাঁর প্রত্যাবর্তনে বাংলা ছবির দর্শক উদ্বেল, সেই শর্মিলা ঠাকুরও প্রিমিয়ারের দিন পা রেখেছিলেন নিজের শহরে। সফরসঙ্গী আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

ঋতুপর্ণার প্রশ্নগুলির কি উত্তর মিলল? ছবিমুক্তির দ্বিতীয় দিনেও প্রায় সর্বত্র ‘হাউসফুল’ বোর্ড ঝুলেছে। এ দিন রাতে নন্দনে দর্শকের ভিড় থেকে নিজেকে সরিয়ে ঠোঁটের উপরে জমে ওঠা ঘাম মুছতে মুছতে বললেন, “নায়িকা ঋতুপর্ণা ‘হাউসফুল’ বোর্ডে দেখেই অভ্যস্ত। অভিনয় জীবনের প্রথম থেকে দেখে আসছে। প্রযোজক ঋতুপর্ণা বিষয়টি উপভোগ করছে।” একটু থেমে অল্প হেসে জানালেন, দর্শকেরা তাঁকে আশাহত করেননি। তাঁদের চোখের ভাষা, মুখের অভিব্যক্তি, বক্তব্য ছবির প্রযোজিকা-নায়িকাকে সাহস জোগাচ্ছে।

নন্দনে ছবির শেষ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ইন্দ্রনীল সেন, সুমন ঘোষ।

নন্দনে ছবির শেষ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ইন্দ্রনীল সেন, সুমন ঘোষ।

“নন্দনের কথাই ধরুন। একদিকে, দর্শক আমাদের অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। অন্য দিকে, ছবির বিষয়ের। আমার প্রযোজনা সংস্থা খুব বড় নয়। বাকি প্রথম সারির প্রযোজকদের সম্মান জানিয়েই বলছি, এটাই বা কম কি! আমিও তা হলে বিনোদন দুনিয়ায় ছাপ রেখে যেতে পারছি”, উপলব্ধি ঋতুপর্ণার। তাতে সায় দিলেন ‘পুরাতন’ পরিচালক সুমন, নায়ক ইন্দ্রনীল। নায়কের মুখচোখ উদ্ভাসিত, ‘ফেলুদা’র বাইরেও বাংলা তাঁকে ভালবাসছে। “তার মানে, প্রযোজক তাঁর আগামী ছবিতে আমাকে হয়তো ভাবতেও পারেন”, খুনসুটি জুড়লেন রীতিমতো। সুমনের কথায়, “আমাদের উদ্দেশ্যে এক দর্শক বললেন, ‘ছবির নাম ‘পুরাতন’। বিষয়বস্তুর দিক থেকে নতুন। বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় নতুন দিগন্ত খুলে দিল এই ছবি’। কত বড় পাওনা বলুন তো!”

ছবি সাড়া ফেলবে দর্শকমনে, শুটিংয়ের প্রথম দিন থেকে বুঝেছিলেন ত্রয়ী? তিন মাথা একযোগে জানিয়েছেন, তাঁরা বুঝতে পারেননি। আশা করেছিলেন, ভাল কিছু হতে চলেছে। কিন্তু ওই পর্যন্ত। এখন ছবি ঘিরে স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করছে তিন জনেরই। ঋতুপর্ণা এ বার তা হলে আরও বেশি ছবি বানাবেন? মুখের কথা খসার অপেক্ষা। প্রযোজক সত্তা ম্লান অভিনেত্রী সত্তার কাছে। বললেন, “তা হলে খেয়াল করেননি, অভিনয়ের প্রশংসা শুনে আমি বেশি খুশি। দর্শক ঘিরে ধরলে এখনও অভিনয়ের শুরু দিনগুলোর মতোই ভাল লাগে।” জানিয়ে দিলেন, আগে তিনি অভিনেত্রী। আরও অনেক ভাল চরিত্রে অভিনয় বাকি। সে সব দিকে এ বার মন দেবেন। এখনই পরের প্রযোজনা নিয়ে কিছু ভাবছেন না।

প্রযোজকের কথা ফুরোতেই মুখ খুললেন সুমন-ইন্দ্রনীল। “আমরা প্রযোজক ঋতুপর্ণার সমর্থক। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আগাম নতুন পোশাক উপহার দিয়েছেন। দুপুরে এমন খাওয়া খাওয়ান যে রাতের খাবারের কথা ভাবতেই হয় না! এমন প্রযোজক চট করে মেলে?”

দু’জনের দুষ্টুমির কাছে কি আত্মসমর্পণ করল ঋতুপর্ণার অভিনেত্রী সত্তা? হাল ছাড়া হাসি যে তেমনই আভাস দিল!

Advertisement
আরও পড়ুন