Priyanka Chopra

‘শ্যামলা বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল’, ছবিতে ফর্সা দেখাতে কী কী করতে হয়েছিল প্রিয়ঙ্কাকে?

বিশ্বসুন্দরী তকমা নিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও গায়ের রং নিয়ে কম কথা শুনতে হয়নি তাঁকে। এমনকি, ফর্সা হতেও প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
লস অ্যাঞ্জেলেস শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩ ২০:৩৫
Priyanka Chopra reveals that she was called dusky actress in Bollywood, recalls about doing fairness creams’ commercial.

পর্দায় ফর্সা হতে কী কী করতে হয়েছিল প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে? ছবি: সংগৃহীত।

বিশ্বসুন্দরীর তকমা জিতেছিলেন ২০০০ সালে। তার বছর তিনেক পরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার। তার পর একের পর এক ছবিতে কাজ করে নজর কেড়েছেন তিনি। যে সময় পুরুষ অভিনেতা ছাড়া কারও কপালে ‘তারকা’ তকমা জুটত না, সেই সময় দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। নারীপ্রধান ছবির জোয়ার যখন আসছে বলিউডে, তখন একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন অভিনেত্রী। তা সত্ত্বেও নাকি একাধিক বার নিজের গায়ের রঙের জন্য কথা শুনতে হয়েছে প্রিয়ঙ্কাকে। তাঁকে বার বার মনে করানো হয়েছে, তিনি নাকি মোটেই নায়িকাসুলভ নয়। এমনকি, গায়ের রং ফর্সা করার জন্য নাকি অতিরিক্ত রূপটান ব্যবহার এবং আলোর কারসাজিও করা হয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন প্রিয়ঙ্কা।

Advertisement
Priyanka Chopra reveals that she was called dusky actress in Bollywood, recalls about doing fairness creams’ commercial.

‘‘আমাকে শ্যামলা বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল,’’ জানান প্রিয়ঙ্কা। ছবি: সংগৃহীত।

এপ্রিল মাসে মুক্তি পেতে চলেছে রুশো ব্রাদার্সের সঙ্গে তাঁর ওয়েব সিরিজ় ‘সিটাডেল’। আপাতত তার প্রচারেই ব্যস্ত দেশি গার্ল। সম্প্রতি তেমনই এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘আমি যখন ছবিতে অভিনয় করা শুরু করি, তখনই আমাকে শ্যামলা বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি তখন জিজ্ঞাসা করি, ‘শ্যামলা আবার কী?’ তার পরেও আমি ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন করেছি। কারণ তখন সব প্রসাধনী সংস্থা ফেয়ারনেস ক্রিম বিক্রি করতে ব্যস্ত। আর অভিনেত্রী হিসাবে প্রসাধনী সংস্থার বিজ্ঞাপন করা তখন খুবই স্বাভাবিক বলেই ধরা হত।’’ প্রিয়ঙ্কা আরও বলেন, ‘‘মেকআপ থেকে শুরু করে জোরাল আলো, সব কিছু ব্যবহার করা হত শুধু মাত্র পর্দায় আমাকে ফর্সা দেখানোর জন্য। আমাকে এমন গানেও নাচ করতে হয়েছে, যে গানে এক জন দুধসাদা মেয়ের কথা বলা হচ্ছে। সেই জন্য আমাকে প্রচুর কাঠখড় পুড়িয়ে ফর্সা করা হয়েছিল।’’

প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জানান, এমন এক বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছিলেন যেখানে গায়ের রঙের কারণে একটি ছেলের নজরে পড়েছিলেন তিনি। এই ধরনের বিজ্ঞাপন যে কতটা ক্ষতিকর, তা তিনি পরে বুঝেছেন। প্রিয়ঙ্কার দাবি, গায়ের রঙের ভিত্তিতে এ ধরনের বৈষম্য বলিউডে এক সময় খুব বেশি মাত্রায় ছিল।

আরও পড়ুন
Advertisement