ফের হাজতের পিছনে অল্লু অর্জুন? ছবি: সংগৃহীত।
অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে ভেবেছিলেন, বুঝি স্বস্তি মিলল। কপালে ভোগান্তি থাকলে খণ্ডাবে কে? খবর, সন্ধ্যা প্রেক্ষাগৃহে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা এবং নায়কের জামিন নিয়ে প্রশাসন এ বার দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে। ফলে, ফাঁড়া কেটেও বুঝি কাটছে না অল্লু অর্জুনের। এক রাত হাজতবাসের পর অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে হাসি ফুটেছিল তাঁর মুখে। অল্লুর পরিবারও স্বস্তির শ্বাস ফেলেছিল। মঙ্গলবার সকালে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে সেই পরিস্থিতি। খবর, প্রশাসনের এই পদক্ষেপের কথা কানে গিয়েছেন তাঁরও। তার পর থেকেই নাকি কপালে ভাঁজ বড় পর্দার ‘পুষ্পা’র।
নায়ক ছবিমুক্তির দিন সন্ধ্যা প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত ছিলেন। হাজারো দর্শকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেবতি এবং তাঁর কিশোর পুত্র শ্রী তেজ। ভিড়ের চোটে প্রথমে দম আটকে আসে রেবতির। তার পরেই হুড়োহুড়িতে পড়ে যান তিনি। পদপিষ্ট হন তিনি এবং তাঁর ছেলে। হাসপাতালে রেবতির মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে তাঁর ছেলে। এই ঘটনার পরে প্রশাসন জানিয়েছিল, অল্লু অর্জুনকে নাকি প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত না-হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল, যাতে এই ধরনের কোনও বিপত্তি না ঘটে। কিন্তু নায়ক সে কথা শোনেননি। উপস্থিত হন সেখানে। ফলে প্রশাসনের দাবি, অঘটনের দায়ভার কোনও ভাবেই এড়াতে পারেন না অল্লু।
প্রশাসনের এই দাবি যদিও মানতে নারাজ বিনোদন দুনিয়ার বাকিরা। চিরঞ্জীবী থেকে অল্লুর নায়িকা রশ্মিকা মন্দানা কিংবা ছবির পরিচালক সুকুমার— প্রত্যেকে সমর্থন জানিয়েছেন অল্লুকে। কিন্তু প্রশাসন কি এত সহজে বুঝবে? শীর্ষ আদালত হাজতবাসের নির্দেশ দিলে যে অল্লুর স্বাভাবিক জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই অনুরাগীদের।