নেচে উঠলেন ‘দত্ত অ্যান্ড বৌমা’-র ‘সোনা মা’।
সেট জুড়ে ছড়ানো ফরাস। তাতে ধবধবে সাদা চাদর পাতা। মাথার উপরে জ্বলছে ঝাড়বাতি। যাকে বলে, জমজমাট মেহফিল। আসরের মধ্যমণি ‘বিবি পায়রা’!
ঘিরে রয়েছেন অনুরাগীরা। নেপথ্যে বাজছে ১৯৮৮ সালের জনপ্রিয় ‘দেবীবরণ’ ছবির আইটেম গান ‘গা ছমছম কী হয় কী হয়’। যার তালে একদা নেচেছিলেন ‘বিবি পায়রা’ ওরফে পাপিয়া অধিকারী।
বুধবার একই গানের তালে চওড়া লাল পাড় সাদা শাড়িতে আরও এক বার নেচে উঠলেন ‘দত্ত অ্যান্ড বৌমা’-র ‘সোনা মা’। বিজেপি সদস্য-অভিনেত্রী সেই পাপিয়াই!
কালার্স বাংলার এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই রাজনীতি থেকে আবারও তিনি অভিনয়ে। চিত্রনাট্য অনুযায়ী পাপিয়া দত্ত বাড়ির কর্ত্রী, আদিত্য-তিতিক্ষার ঠাম্মা! একদা ছিপছিপে শরীরে এখন বাড়তি মেদের আধিক্য। কিন্তু অভিনেত্রীর নাচে লাস্যে খাদ জমেনি এতটুকুও। গান বেজে উঠতেই উপস্থিত অভিনেতা, কলাকুশলীদের যেন ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন সেই আটের দশকে, ‘দেবীবরণ’-এর সময়। যে ছবিতে এই গানে তাঁর সজ্জা ছিল কাঁধখোলা জাম্প শ্যুট। সঙ্গী রঞ্জিত মল্লিক, দীপঙ্কর দে।
কাজের ফাঁকে ঠাম্মির এই বিনোদন দেখে নাতি-নাতবৌ বেজায় খুশি। খুশি পাপিয়া নিজে, তাঁর ইনস্টাগ্রাম অনুরাগীরাও। এর আগেই তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘প্রয়োজনে সকলেই আমার থেকে অভিনয়ের পরামর্শ নেন। দরকারে টুকরো দৃশ্য অভিনয় করে দেখাতে বলেন। আমার দেওয়া পরামর্শ কাজে লাগলে খুশি ওঁরা। আমারও ভাল লাগে।’’ তবে এই প্রজন্মের সঙ্গে টক্কর দিতেও মোটেই ভোলেন না পাপিয়া। টিফিনে থাকে শসা, স্যালাড, টকদই, স্যান্ডউইচ। এ দিকে পর্দার নাতি-নাতবৌদের ধ্যান-জ্ঞান তখন বিরিয়ানি!