গরফায় পল্লবীর ফ্ল্যাটেই তিনি যাননি বলে দাবি ঐন্দ্রিলার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অভিনেত্রী পল্লবী দে-র রহস্যমৃত্যুতে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার পল্লবীর পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে গরফা থানায়। তাতে নাম রয়েছে সাগ্নিক চক্রবর্তী এবং পল্লবীর এক বান্ধবী ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের। যদিও ওই ‘বান্ধবী’র দাবি, মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি জানান, পল্লবীর সঙ্গে এক পাড়ায় বড় হয়েছেন। তাঁদের এক সঙ্গে বড় হতে দেখেছেন পল্লবীর বাবা-মা। তিনি ভাবতেই পারেননি যে, তাঁরা এমন অভিযোগ করতে পারেন।
ঐন্দ্রিলার কথায়, ‘‘পল্লবীর সঙ্গে সে রকম যোগাযোগই ছিল না। মাঝেমধ্যে হয়তো ফোন বা মেসেজে খবরাখবর নিতাম। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে কে কী করছি, তা জানতে চাইনি।’’ তাঁর এ-ও দাবি, টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা একেবারে মিথ্যে। পল্লবীর ছোটবেলার ওই বান্ধবী দাবি করেন, তাঁদের এমন সম্পর্ক ছিল না যে, কেউ কারও সম্পত্তির হিসেব রাখবেন।
ঐন্দ্রিলার আরও দাবি, পল্লবীর মাধ্যমেই সাগ্নিকের সঙ্গে তাঁর আলাপ-পরিচয়। কিন্তু সেটা নেহাতই বান্ধবীর ‘বয়ফ্রেন্ড’ বলে। এর বাইরে তাঁদের মেলামেশা ছিল না। পল্লবীর গরফার ফ্ল্যাটে ‘নিয়মিত যাতায়াত’-এর যে অভিযোগ করেছে পরিবার, সেটাও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তিনি জানান, কোনও দিন ওই ফ্ল্যাটে যাননি। এর আগে অবশ্য তিনি দাবি করেছিলেন, এক দিনই ওই ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন।
পল্লবীর বান্ধবীর কথায়, ‘‘মাঝেমধ্যে পল্লবীর সঙ্গে ফোনে কথা হত। কিছু দিন আগে একটা পার্টিতে হঠাৎই দেখা হয়েছিল। ওর আর সাগ্নিকের মধ্যে কী হয়েছিল, কিংবা ওদের ব্যক্তিগত সমস্যা কী, এ নিয়ে কোনও দিন কথা হয়নি। বরং ও বলত লিভ-ইন সম্পর্কে ভাল আছে। বিয়ের পরিকল্পনা করছে। কিন্তু এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে, ভাবতে পারিনি!’’ তদন্তে পুলিশকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলেও জানান তিনি।