সমবয়সি অন্য অভিনেতাদের পাশে রাখলে মনে পড়ে যেতে পারে তাঁদের আসল বয়স। কারা তাঁরা? রইল ঝলক। ফাইল চিত্র
জিনগত কারণে হোক বা অন্য কোনও উপায়— কিছু তারকার বয়স যেন বাড়ে না। তাঁরা ‘চিরতরুণ’। বয়স যেন তাঁদের জন্য থমকে গিয়েছে। আবার কেউ কেউ বয়সের ছাপ নিয়ে ঘুরছেন চেহারায়। এমন উদাহরণ ছড়িয়ে রয়েছে বলিউডেও। এখনও ‘যুবক’ হয়ে ঘুরছেন বটে। কিন্তু সমবয়সি অন্য অভিনেতাদের পাশে রাখলে মনে পড়ে যেতে পারে তাঁদের আসল বয়স। কারা তাঁরা? রইল ঝলক।
শাহরুখ-সলমন-মিলিন্দ সুমন:
বলিউড শাসন করা তিন খান অর্থাৎ শাহরুখ, আমির ও সলমন, কাছাকাছি বয়সের তিন নায়কই মধ্য পঞ্চাশ ছুঁতে চলেছেন (৫৪ বছর)। আমির যদিও বাকি দু’জনের তুলনায় সামান্য বড়। অভিনেতা মিলিন্দ সুমনও এই তিন খানের সমবয়সি, তাঁর বয়সও চুয়ান্ন। কিন্তু এমন ভাবে তিনি বয়স ধরে রেখেছেন, যাতে তাঁকে বড়জোর চল্লিশের কোঠায় মনে হয়।
হৃতিক রোশন-নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকী:
এই দুই অভিনেতার জন্ম একই বছরে। দু’জনেই এখন ছেচল্লিশে। নওয়াজকে দেখে যদিও চল্লিশের ঘরে বয়স বলে মনে হয়, হৃতিকের বয়সের ঘড়ি যেন থমকে গেছে তাঁর পঁয়ত্রিশ বছরের জন্মদিনেই। শরীরের সঠিক যত্ন নিলে বয়স যে থামিয়ে রাখা সম্ভব, হৃতিক তার উজ্জ্বল উদাহরণ।
সানি দেওল-অলোকনাথ
অভিনেতা সানি দেওল দীর্ঘ দিন ধরে ছবির জগতে রয়েছেন। তবে তিনি যে তেষট্টিতে পৌঁছেছেন, ভাবলে অবাক লাগে। বলিউডে তাঁর কেরিয়ারের বয়সই প্রায় চল্লিশ ছুঁতে চলেছে! অন্য দিকে, প্রবীণ অভিনেতা অলোকনাথকে দেখে চিরকালই বয়স্ক মনে হয়। একাধিক ছবিতে ‘বাবুজি’র চরিত্রে অভিনয় করা অলোকনাথকে সেই নয়ের দশক থেকেই ষাট বছর বয়সি মনে হত, যখন তাঁর প্রকৃত বয়স ছিল তিরিশের কোঠায়!
অক্ষয়কুমার-দিলীপ যোশি
সব থেকে আশ্চর্য হতে হয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার আর দিলীপ যোশির কথা ভাবলে। অক্ষয়কে দেখে কেউ বলবেন না, এখন তাঁর বয়স বাহান্ন। কেবল তাঁর চেহারার জন্যই যে অনেক কমবয়সি মনে হয় তাঁকে, তা নয়। ছবিতে যে ধরনের মারামারির দৃশ্যে এখনও তিনি অনায়াস, সাবলীল, মধ্য কুড়ির যুবকের পক্ষেও অনেক সময় সে সবের স্বপ্ন দেখার দুঃসাহস করা মুশকিল। অন্যদিকে ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ খ্যাত দিলীপের চেহারায় কিন্তু বয়স আন্দাজে সেই ভাবে বার্ধক্যের ছাপ পড়েনি। বয়স আন্দাজে তাঁকে তরুণ মনে হলেও অক্ষয় আর দিলীপ সমবয়সি, এ কথা বিশ্বাস করা শক্ত।
বোমান-সঞ্জয়
বোমান ইরানি আর সঞ্জয় দত্ত ‘মুন্না ভাই’ সিরিজের চর্চিত জুটি। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, এই দুই অভিনেতাই এক বয়সি। দু’জনেই এখন ষাট। বোমানকে সঞ্জয়ের থেকে অন্তত দশ বছরের বড় মনে হয়। ‘সঞ্জুবাবা’কে এখনও দর্শক নায়কের চরিত্রে দেখছেন। অন্য দিকে, বোমান তুলনায় একটু বেশি বয়সের চরিত্রগুলো বেছে নিয়েছেন। আসলে বয়স নয়, পুরোটাই কিন্তু তাঁদের চেহারার জন্য। বিশেষ করে, তাঁর অভিনীত ‘ডা: আস্থানা’ চরিত্রটি দেখে দর্শকের মনে এই ভাবনা আসাটা খুব কঠিন নয়। সঞ্জয়-বোমান এক বয়সি, ভাবলে হতবাক হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।