পুজোর বিচারক হিসেবে যশ-নুসরত মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরলেন।
প্রায় সবই এক আছে। শুধু বদলে গিয়েছে জীবনসঙ্গী। ২০১৯-এ এ ভাবেই সুরুচি সংঘের পুজোয় ঢাক বাজাতে দেখা গিয়েছিল নুসরত জাহানকে। তখন তাঁর পাশে ছিলেন নিখিল জৈন। তাঁর ‘সহবাস সঙ্গী’। সাল ২০২১। এ বারেও ষষ্ঠীতে মণ্ডপে জয়ঢাক বাজাতে দেখা গেল সাংসদ-তারকাকে। এ বছর তাঁর পাশে যশ দাশগুপ্ত। পঞ্চমীর দিন যশকে প্রকাশ্যে ‘স্বামী’ বলে স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী।
পুজোর বিচারক হিসেবে যশ-নুসরত মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরলেন। প্রতিমা দেখলেন। বিচারের ফাঁকে মেতে উঠলেন খুনসুটিতে। এ ভাবেই প্রথম প্রকাশ্যে দেখা গেল তাঁদের। মুখের হাসি বলছিল, সমস্ত বিতর্ক দূরে সরিয়ে জীবনকে উপভোগ করছেন দু’জনেই।
নুসরতের সাজেও বদল এসেছে। ২০১৯-এ তাঁকে সব সময়েই দেখা যেত লাল পাড়, সাদা শাড়িতে। সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর। দু’হাতে , পলা। গলায় মঙ্গলসূত্র। নিখিল পরতেন শেরওয়ানি বা পাজামা-পাঞ্জাবি। সোমবার নুসরত চওড়া জড়ি পাড়ের নীল শাড়িতে আলাদা হলেন। সঙ্গে মানানসই হাতখোঁপা, ফুল দেওয়া তাতে। অল্প সাজ। তাতেই তিনি সুন্দর। কিন্তু শাঁখা, পলা, সিঁদুরে আগের মতো নন তিনি! যশ ঝকঝকে ধবধবে সাদা শার্ট, ডেনিম জিনসে আনন্দে ভরপুর।
জয়ঢাকের কাঠি হাতে পেতেই যশকে কপট শাসন অভিনেত্রীর। স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য প্রেম ক্যামেরাবন্দি। হাসি-ঠাট্টার মধ্যেই যশকে নিয়ে নুসরত বোল তুললেন জয়ঢাকে। সেই পর্ব মিটতেই দু’জনে সমস্ত শহরবাসী এবং অনুরাগীদের ষষ্ঠীর শুভেচ্ছা জানান। যশের অনুরোধ, সতর্কতা মেনে সবাই যেন পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে নুসরত সাংসদের কর্তব্য পালন করলেন। তিনিও মনে করিয়ে দিলেন, সবাই যেন মুখোশে মুখ ঢেকে রাস্তায় বেরোন। মাস্ক, স্যানিটাইজার সঙ্গে থাকা মানেই করোনাসুর জব্দ। এও বললেন, ‘‘আমরা মুখোশ খুলেছি ছবি তোলা এবং কথা বলার জন্য। আমরাও মাস্ক পরেই থাকছি সারাক্ষণ।’’ সঙ্গে সঙ্গে যশের হাল্কা দুষ্টুমি। ঈশান-জননীকে প্রশ্ন, ‘‘তোমার স্যানিটাইজার কোথায়?’’ আত্মবিশ্বাসী নুসরতের সপাট জবাব, ‘‘দ্যাখো, নিশ্চয়ই তোমার পকেটেই আছে!’’