দীর্ঘ দিন নীরবে ভালবেসেও রাজার মন পায়নি মাম্পি।
এক দিকে কিয়ান-নোয়ার বিয়ে। অন্য দিকে রাজা-মাম্পির সম্পর্কের টানাপড়েন। দুইয়ে মিলে জমে গিয়েছে ‘দেশের মাটি’র একাধিক পর্ব। দীর্ঘ দিন বিদেশে কাটিয়েও নোয়াকে ভুলতে পারেনি কিয়ান। দীর্ঘ দিন নীরবে ভালবেসেও রাজার মন পায়নি মাম্পি। এই অবহেলা সহ্য করা যায়? কোনও শিক্ষিত, সুন্দরী মেয়ের পক্ষে সত্যিই সম্ভব নয় তা। মাম্পিও পারেনি প্রত্যাখ্যান হজম করতে। তাই কি যেনতেনপ্রকারেণ কিয়ান-নোয়ার বিয়ে ভাঙতে উঠেপড়ে লেগেছে? এই অভিযোগ তুলেছে স্বরূপনগরের মুখোপাধ্যায় পরিবারের ‘আশ্রিত’ রাজা।
কেন এমন অভিযোগ আনল রাজা? ফ্যান পেজে শেয়ার হওয়া ধারাবাহিকের কয়েকটি দৃশ্যে দেখা গিয়েছে, মেজ মা-র আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যর্থ। হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তিনি অনেকটাই সুস্থ। সে খবর কিয়ান সহ পরিবারের বাকিদের জানানোর পরেই রাজা সরাসরি আঙুল তুলেছে মাম্পির দিকে। কিয়ান-নোয়ার বিয়ে ভাঙার পিছনে যে অনেকটাই সক্রিয়। এ দিকে মাম্পির দাবি, রাজা কালসাপ। মুখোপাধ্যায় পরিবারকে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছে। রাজার পরামর্শেই নাকি কিয়ান বাগদত্তা পায়েলকে অস্বীকার করে বিয়ে করছে নোয়াকে।
রাজার সঙ্গে মেয়ে মাম্পির গোপন প্রেমের কথা টের পাননি মাম্পির বাবা। তিনি আসল কারণ জানতে চাইতেই রাজা প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় মাম্পিকে। কী উত্তর দেয় মাম্পি? বলে, "হ্যাঁ আমি মনে করি তুমি আমাদের পরিবারের জন্য হার্মফুল!" যদিও প্রত্যাখ্যাত হয়ে সে প্রতিশোধ নিচ্ছে কিনা সে কথা সবার সামনে জানাতে পারেনি।
রাজার সমর্থনে যদিও এগিয়ে আসে ডোডোদার স্ত্রী উজ্জ্বয়িনী। মাম্পিকে সাবধান করে দিয়ে বলে, ‘যাকে বার বার কালসাপ বলে অপমান করছ, সেই কালসাপের ছোবল খাওয়ার জন্যও তৈরি থেক।’ প্রশ্ন তোলে, কেন সে বার বার নিজেকে ছোট করছে সবার কাছে! জানিয়ে দেয়, রাজা আর তার ‘বিশেষ বন্ধুত্ব’-এর কথা কারওর অজানা নয়।
কিয়ান-নোয়ার বিয়ের হাত ধরে রাজা-মাম্পির প্রেম কি সম্পূর্ণতা পেতে চলেছে? পরস্পরের প্রতি দোষারোপ সেই পূর্বরাগের ইঙ্গিত? নতুন মোচড় সেই গল্পই দেখাতে চলেছে খুব শিগগির।