(বাঁ দিকে) নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি। অনুরাগ কাশ্যপ (ডান দিকে) । ছবি : সংগৃহীত।
এই পরিচালক-অভিনেতা জুটি জনপ্রিয় ছবি ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’ থেকেই। একটা সময় দীর্ঘ লড়াই করেছেন অভিনেতা। প্রযোজক-পরিচালকদের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন কাজের আশায়। কোথাও শুনতে হচ্ছে, তাঁর চেহারা একেবারেই অভিনেতাসুলভ নয়, সময় নষ্ট করা বৃথা। কোথাও জুটছে গায়ের রং নিয়ে ব্যঙ্গ। কিন্তু অবশেষে অনুরাগ কাশ্যপের নজরে পড়েন নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি। প্রথমে পরিচালক তাঁর বহুল চর্চিত ছবি ‘দেব ডি’-তে একটি ছোট পার্ট দেন নওয়াজ়কে। ‘তওবা তেরা জলওয়া, তওবা তেরা প্যায়ার’ গানে নাচার পার্ট পান তিনি, সংলাপ ছিল না কোনও। তত দিনে অনুরাগের চোখে পড়ে যান তিনি। তাই ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’ ছবিতে ফয়জল খানের চরিত্র পেয়ে যান। যা অভিনেতার কেরিয়ারের রাস্তা পাকা করে দিয়েছিল। তবে প্রথম দিনই পরিচালকের কাছ ব্যাপক বকুনি খান অভিনেতা। ধমকের চোটে রাতে ঘুমোতে পারেননি।
এত বড় একটা চরিত্রের প্রস্তাব, সেটে যাওয়ার আগে নিজের মতো করে প্রস্তুতি নেন অভিনেতা। তবে সেটি ছিল খ্যাতনামী অভিনেতা আল পাচিনোর অনুকরণ। একেবারে তাঁর মতো কথাবার্তা, তাঁর মতো চালচলন। সেই দেখেই রেগে যান অনুরাগ। নওয়াজ়ের কথায়, ‘‘আসলে আমি পুরো আল পাচিনো হয়েই গিয়েছিলাম সেটে। এমনকি, কথাও বলছিলাম ওঁর ভঙ্গিমায়। দেখেই এমন বকা দিল অনুরাগ। সে রাতে ঘুমোতে পারিনি। তবে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পুরো নওয়াজ় হয়েই ফিরেছিলাম সেটে।’’ ছবিমুক্তির পর এক ধাক্কায় যেন মাইলেজ পায় অভিনেতার কেরিয়ার। একের পর এক ছবির প্রস্তাব পেতে শুরু করেন। এই মুহূর্তে বলিউডে অন্যতম বলিষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে নিজের জায়গা পাকা করেছেন তিনি।