রেমাল থেকে বাঁচতে নন্দন কর্তৃপক্ষের বাড়তি সতর্কতা। নিজস্ব চিত্র।
রবিবার শহরে ‘রেমাল’ আছড়ে পড়তে পারে। এমনই আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। যার জেরে সোমবারেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। দর্শকদের কথা ভেবে তাই রবিবার নন্দনের সমস্ত শো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নন্দন কর্তৃপক্ষ। নন্দন ১ এবং নন্দন ২ মিলিয়ে তিনটি করে মোট ছ’টি ছবি চলছে। তালিকায় ‘আলাপ’, ‘দাবাড়ু’, ‘নয়ন রহস্য’, ‘এটা আমাদের গল্প’, ‘তাহাদের কথা’, ‘মির্জা’। প্রতিটি ছবিই আগাম হাউসফুল। খবর, তার পরেও এ রকম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
সবিস্তার জানতে আনন্দবাজান অনলাইন যোগাযোগ করেছিল নন্দন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। নন্দনের সিইও শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নন্দন, রবীন্দ্রসদন চত্বরে অনেক পুরনো গাছ আছে। ঝড়ের দাপটে সেই গাছ বা গাছের ডাল ভেঙে পড়লে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। জীবনহানিও ঘটতে পারে। এই কথা ভেবেই কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ করছেন। কোনও ভাবে কি আগামী সপ্তাহে প্রতি দিন একটি করে বেশি শো রাখা সম্ভব? কর্তৃপক্ষের যুক্তি, প্রত্যেক দিন ছ’টি শো-এর পর বাড়তি শো-এর সময় থাকে না। ফলে, একটি দিনের ক্ষতি মেনে নিতে হবে প্রযোজক, পরিবেশকদের। এবং তাঁরা প্রত্যেকে গুরুত্ব বুঝেই বিষয়টি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি।
নন্দন কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন পরিচালকেরা? আনন্দবাজার অনলাইন কথা বলেছিল ‘আলাপ’ এবং ‘এটা আমাদের গল্প’-এর পরিচালক প্রেমেন্দুবিকাশ চাকী ও মানসী সিংহের সঙ্গে। মানসী পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন নন্দন কর্তৃপক্ষকে। তাঁর কথায়, ‘‘শুধু নন্দন নয়, রাধা স্টুডিয়োও বন্ধ থাকবে। বিনোদন দুনিয়া সপ্তাহান্তের প্রতীক্ষায় থাকে। সপ্তাহ জুড়ে ব্যস্ততার পরে এই দিনগুলোয় দর্শকেরা হলে ভিড় জমান। আমার ছবির শোগুলোই যেমন হাউসফুল। কিন্তু যাঁরা দেখতে যাবেন, তাঁদের জীবনহানি বা ক্ষয়ক্ষতি হোক, এটাও কাম্য নয়। তাই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছি।’’ একই কথা প্রেমেন্দুরও। তিনি বলেছেন, ‘‘সাধারণের মুখ চেয়ে একটি দিনের ক্ষতি মেনে নিতে হবে। দর্শক আমাদের লক্ষ্মী। জনজীবন স্বাভাবিক থাকলে সব ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।’’