বিতর্ক ছাড়ল না পূজা বেদীকে। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি বিতর্কিত— কখনও কন্ডোমের বিজ্ঞাপন করে খবরের শিরোনাম, কখনও নগ্ন হয়ে। পূজা বেদীর নাম উচ্চারিত হলে এখনও বলিউড নড়ে বসে। নতুন করে ফের চর্চায় অভিনেত্রী।
২০১৯ সালে অভিনেতা ও সঞ্চালক কর্ণ ওবেরয়ের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল ধর্ষণের মামলা। সেখানে নাম জড়িয়েছিল পূজারও। ছ’বছর পরেও সেই মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন না অভিনেত্রী। পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন তিনি। সেখানেই নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করেন তিনি এবং অন্য সাত অভিযুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে আন্ধেরির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন অভিযোগকারিণী।
খবর, সোমবার দায়রা আদালত সেই মামলা বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, পূজা-সহ আট জনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তাই মামলা খারিজ করার প্রশ্নই উঠছে না।
কী ঘটেছিল ছ’বছর আগে? পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেতা কর্ণ ওবেরয়ের বিরুদ্ধে এক মহিলা জ্যোতিষীকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পরে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয় কর্ণের তরফে। এই সময়ই পূজা নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের ডাকেন বলে দাবি অভিযোগকারিণীর। সেখানে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করে দেন পূজা, অন্বেষী জৈন, চৈতন্য ভোঁসলে, ভারকে পটানি, গুরবাণী ওবেরয়, শেরিন ভার্গেস, সুধাংশু পাণ্ড্য এবং দীনেশ তিওয়ারি। ধর্ষণ মামলায় নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ ভারতীয় ন্য়ায়সংহিতা অনুযায়ী অপরাধ।
দায়ের করা মামলায় সে কথা উল্লেখ করে নির্যাতিতা জানান, নাম প্রকাশিত হওয়ায় তাঁর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন সাংবাদিক-সহ নানা পেশার মানুষ। ইউটিউব, সমাজমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে খবরটি সে সময়ে ভাইরাল হয়। মহিলার অভিযোগ, এতে তাঁর মানহানি হয়েছে, কাজের ক্ষতি হয়েছে। আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। পূজা-সহ মোট আট জন ব্যক্তি ধর্ষিতার নামপ্রকাশের সঙ্গে যুক্ত। ফলে এখনই রেহাই পাচ্ছেন না পূজা।