শাহিদ কপূর ও মীরা রাজপুত
শাহিদ কপূর ও মীরা রাজপুতের প্রেমের বন্যা বয়ে যায় ইনস্টাগ্রামে। তবে কে জানত, তাঁদের মধ্যে ভাষার দূরত্ব রয়েছে! বহু দিন পর্যন্ত শাহিদের কথা বুঝতে পারতেন না মীরা। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এমনটাই জানালেন শাহিদ-পত্নী।
ইংরেজি হোক বা হিন্দি। দু’জনেই তো বেশ সরগড় এই দু’টি ভাষায়। তারকা-দম্পতির সাক্ষাৎকার দেখে ও শুনে তো তাই মনে হয়। তা হলে ভাষার দূরত্ব কেন তাঁদের মধ্যে? মীরা কি তবে ‘মনের কথা’ বলতে চাইলেন? শাহিদের মনের ভাষা বুঝতে পারেন না মীরা?
এ যে একবিংশ শতাব্দী! মনের ভাষা, মুখের ভাষা, চোখের ভাষা, এরই সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়েছে ‘টেক্সিং’-এর ভাষা। আর সেই ভাষা কখনও কখনও সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই হয়েছিল বলি দম্পতির জীবনে।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীদের সঙ্গে ‘আস্ক মি এনিথিং’ খেলায় মেতেছিলেন মীরা রাজপুত। অর্থাৎ তাঁদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। একটি প্রশ্ন জেগেছিল এক নেটাগরিকের মনে, ‘শাহিদের কোন স্বভাবে আপনি বিরক্ত আর কোনটা আপনার প্রিয়’?
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘শাহিদকে ভালবাসি। ওর সব কিছুই আমার পছন্দ’। কিন্তু বদ অভ্যাস? ‘টেক্সটিং’-এর ভাষা! শাহিদ তাঁর ফোনে যে ভাবে টাইপ করেন, তাতে গুচ্ছের ভুল থাকে। প্রথম প্রথম তার অর্থ উদ্ধার করতে কাল ঘাম ছুটে যেত তাঁর স্ত্রী-র। এ ভাবেই সামনাসামনি না থাকলে ভাষার দূরত্ব তৈরি হয়ে যেত তাঁদের মধ্যে। এখন অবশ্য চেষ্টা করে করে অনেকটা তালে এসেছে। না না, শাহিদ যেমন ছিলেন, তেমনটাই আছেন। টাইপের ভুল শুধরায়নি তাঁর। কিন্তু আজগুবির অর্থ উদ্ধার করায় পটু হয়ে উঠেছেন মীরা। এখন বুঝতে পারেন, শাহিদ কী বলতে চান বা কী বলতে গিয়ে কী বলছেন।