রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা।
তিনি এলেন, দেখলেন। তাঁকেও দেখল সবাই। আগুন জ্বলল কতটা? ‘বহ্নি’র আঁচে ‘পতঙ্গ’ পুড়ল কি?
মঙ্গলবার প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ এবং আনন্দবাজার অনলাইন একজোটে প্রকাশ্যে এনেছে ‘মণ্টু পাইলট ২’ সিরিজে রাফিয়াদ রশিদ মিথিলার প্রথম লুক, ‘বহ্নি’। মিথিলা কাজের সূত্রে বাংলাদেশে। অগত্যা ফোনেই আলাপচারিতা। সেখানেই শুরুতে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তাঁর কাছে। কী জবাব দিলেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের অভিনেত্রী? বিনীত অথচ স্পষ্ট জবাব তাঁর, ‘‘পর্দায় তথাকথিত আগুন জ্বালানোর বা পুরুষ পতঙ্গ পোড়ানোর কোনও আবেদন নেই সিরিজে। আছে বারবণিতাদের যন্ত্রণা। বহ্নি যাদের প্রতিনিধি।’’ সিরিজটি সম্ভবত আসতে চলেছে চলতি বছরের এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের গোড়ায়।
কথা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘মন্টু পাইলট ২’-এ অভিনয়ের কথা উঠতেই নাকি আপত্তি ভারত-বাংলাদেশ বিনোদন মহল্লায়। তখনও নিজের চরিত্র সম্বন্ধে বিশদে জানেন না তিনি। পরিচালক দেবালয় বাকিদের মতো তাঁকেও এক লাইন বলে থেমে গিয়েছেন! মিথিলা তাঁর পড়াশোনায় ফাঁক রাখেননি। সিরিজের প্রথম সিজন দেখেছেন খুঁটিয়ে। তখনই তাঁর উপলব্ধি, রাজি হয়ে ভুল করেননি। অবাক হয়েছেন, ‘মন্টু পাইলট’ নিয়ে সমালোচনার বহর দেখে। তাঁর মতে, দেবালয় বরাবর অন্য পথের পথিক। তাই, তিনি যে ভিন্ন স্বাদের কিছু উপহার দেবেন তা স্বাভাবিক। সেই বিন্দু থেকে সিরিজটি অবশ্যই আলোচনার যোগ্য, কিন্তু সমালোচনার নয়।
মিথিলাতে মুগ্ধ ‘মণ্টু’ সৌরভ দাস। সাক্ষাৎকারে সে কথা অকপটে জানিয়েওছেন অভিনেতা। বলেছেন, ‘‘আমরা সহ-অভিনেতা থেকে দোস্ত হয়ে গিয়েছি। এক সঙ্গে ওঠা-বসা, অভিনয়। অদ্ভুত জোরালো অভিনেত্রী। প্রথম শ্যুট আমাদের। খুব ভয় ছিল। একে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ঘরনি। তার উপরে বাংলাদেশের নামী অভিনেত্রী। কেমন হবেন?’’ রসায়ন নিয়েও তাই ভয় ছিল তাঁর। কাজ করতে করতে সৌরভ বুঝেছেন, সৌরভ-শোলাঙ্কির পরে এ বার দর্শক সৌরভ-মিথিলা মায়ায় মজতে বাধ্য!
মিথিলা দেবালয়ের সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের তুরুপের তাস। কেমন লাগল পরিচালনা করে? পরিচালকের দাবি, স্বাভাবিক অভিনেত্রী। প্রত্যেকটা শট নিজের মতো করে সাজিয়েছেন। অভিনয়ের পরে জেনে নিয়েছেন, ঠিক হয়েছে তো? কাজের বাইরেও অন্তরঙ্গ ভাবে জুড়ে ছিলেন সবার সঙ্গে, সবখানে। এতটাও তিনি আশা করেননি। পাশাপাশি দেবালয়ের এ-ও দাবি, ‘‘আমি মাত্র একটি লাইন বলেছিলাম। মিথিলা কিন্তু তাঁর মতো করে হোমওয়ার্ক করেছেন। আমার আগের সিরিজ খুঁটিয়ে দেখেছেন।’’
রাজর্ষি দে-র ‘মায়া’র পরে দেবালয়ের ‘বহ্নি’। মিথিলা কি আস্তে আস্তে ‘পাশের বাড়ির মেয়ে’র তকমা সরাচ্ছেন? প্রশ্ন শুনেই হাসি। তার পর জবাব, ‘‘ঠিক ধরেছেন। অনেক দিন শান্ত, পাশের বাড়ির মেয়ে, মিষ্টি প্রেমিকা হয়ে থেকেছি। এ বার একটু তথাকথিত ‘সাহসী’ হই? নইলে অভিনেতা জীবন পূর্ণতা পাবে কী করে?’’