(বাঁ দিক থেকে) ঋষি কপূর, রণবীর কপূর এবং নীতু কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
কপূর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দর্শক মহলে কৌতূহল বরাবরের। ঋষি কপূর আর নীতু কপূর সম্পর্ক নিয়ে যতটা উৎসাহ কয়েক দশক আগে ছিল, এখনও রণবীর কপূর বা করিনা কপূরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একই রকম আগ্রহ রয়েছে। সদ্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল রণবীর এবং আলিয়া ভট্টর মেয়ে রাহা কপূর। জন্মের পর থেকে কপূর পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যকে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সকলে। ২০২৩ সালের শেষে মেয়ে রাহাকে কোলে নিয়ে সবার সামনে আসেন রণবীর। ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছিল মেয়ে রাহা তাঁর কতটা আদরের। নায়ক রণবীরও কি বাবা ঋষির কাছে এতটাই আদরের ছিলেন? সন্তানদের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল প্রয়াত অভিনেতার? সেই তথ্যই অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন মা নীতু।
সম্প্রতি ‘কফি উইথ কর্ণ’-এ অতিথি হিসাবে এসেছিলেন তিনি। নতুন পর্বের নীতুর সঙ্গী ছিলেন জিনাত আমন। সেখানেই নীতুকে তাঁর স্বামী সম্পর্কিত প্রশ্ন করেন কর্ণ। ঋষির সঙ্গে কাটানো নিউ ইয়র্কের শেষ দিনগুলির স্মৃতিতে ডুব দেন নীতু। তখনই রণবীর, ঋদ্ধিমার সঙ্গে তাঁর বাবার সম্পর্কের কথাও বলেন তিনি। নীতু বলেন, “কর্ণ, দুঃখের দিনের কথা আমি মনে করতে চাই না। তবে যে ক’টা দিন ঋষিজির চিকিৎসার জন্য আমরা নিউ ইয়র্কে ছিলাম, খুব আনন্দে কাটিয়েছি সময়টা। রণবীর, ঋদ্ধিমার সঙ্গেও তাঁর সম্পর্কটা সহজ হয়ে গিয়েছিল শেষের সময়টা।” যখন তিনি সুস্থ ছিলেন তখন যে পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতেন, সে কথাও জানান তিনি।
গত বছর মুক্তি পায় রণবীর কপূর অভিনীত ‘অ্যানিম্যাল’। সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার এই ছবি নানা মহলে সমালোচিত হলেও বক্স অফিসে দারুণ ফল করে। সম্প্রতি তার সাকসেস পার্টিও হয়ে গেল মুম্বইয়ে। ছবিতে রণবীরের চরিত্রের সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক সহজ ছিল না। বাবার সঙ্গে এই দূরত্বই রণবীরের চরিত্রটাকে উগ্র এবং হিংস্র করে তোলে বলে ইঙ্গিত দেয় চিত্রনাট্য। বাস্তবেও যে রণবীরের সঙ্গে তাঁর বাবার খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল না, তা-ই জানালেন মা নীতু।
নীতু যোগ করেন, “সবাই জানে চিন্টুজি (ঋষি কপূর) কেমন খামখেয়ালি ছিলেন। কোনও দিনই ভালবাসা ব্যক্ত করেননি। উল্টে আমায় এবং আমাদের ছেলেমেয়েকে দূরে সরিয়ে রাখতেন। সব সময় একটা দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতেন। গুরুজন বলে তাঁকে যে সম্মান করতে হবে, বন্ধুর মতো নয়, এটাই বার বার বোঝানোর চেষ্টা করতেন রণবীর, ঋদ্ধিমাকে। তবে অসুস্থ হওয়ার পর সেই দূরত্ব কমে যায়। তখন বন্ধুর মতো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল সকলের সঙ্গে।” ঋষির মৃত্যুর পর আবারও ছবির কাজ শুরু করেছেন নীতু। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায় তাঁকে। ইন্ডাস্ট্রিতে শোনা যায়, আলোকচিত্রীদের অন্যতম প্রিয় তারকার তালিকায় রয়েছেন তিনি।