(বাঁ দিকে) ‘রকি অউর রানি...’-তে ধর্মেন্দ্র ও শাবানা। কর্ণ জোহর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
শেষ বার ছবি পরিচালনা করেছিলেন ২০১৬ সালে। রণবীর কপূর, অনুষ্কা শর্মা ও ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন অভিনীত ছবি ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’। ওই ছবিতে এক পক্ষের প্রেমের আধারে চিত্রনাট্য বেঁধেছিলেন পরিচালক কর্ণ জোহর। তার বছর সাতেক পরে পরিচালনায় ফিরেছেন কর্ণ। চলতি বছরে মুক্তি পেয়েছে কর্ণ পরিচালিত ছবি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি ’। আদ্যোপান্ত বলিউডি প্রেমকাহিনি পর্দায় তুলে ধরবেন বলে কথা দিয়েছিলেন কর্ণ। সেই কথা রেখেওছেন তিনি। রণবীর সিংহ ও আলিয়া ভট্ট অভিনীত রকি ও রানি চরিত্রের মাধ্যমে বলিউডি প্রেমকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। তবে ওই ছবিতে আলিয়া ও রণবীরের প্রেমের থেকেও বেশি আলোচনা হয়েছে ধর্মেন্দ্র ও শাবানা আজ়মির চরিত্রের সমীকরণ নিয়ে। এমনকি, দুই বর্ষীয়ান অভিনেতার চুম্বনের দৃশ্য নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। তবে তাতে এতটুকু বিচলিত নন কর্ণ। বরং পরকীয়ার বিষয়টা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন তিনি। এমনকি, কর্ণ জানিয়েছেন, নিজের পরিবারেরই এক সদস্যকে দেখে ধর্মেন্দ্র ও শাবানার গল্পের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কর্ণকে বিবাহবহির্ভূত প্রেম ও পরকীয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্ণ জানান, সাদামাটা প্রেম নয়, গতে বাঁধা সম্পর্কের বাইরের রসায়নই বেশি মন টানে তাঁর। কর্ণ বলেন, ‘‘আমার ভীষণ আকর্ষণীয় লাগে এই বিবাহবহির্ভূত প্রেম আর পরকীয়ার বিষয়গুলো। আমি তো এই বিষয় নিয়ে এর আগে একটা গোটা ছবিও বানিয়েছি। আমাকে তখন এক জন জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, আমি কেন এই রকম একটা বিষয়কে উদ্যাপন করছি! আমি উত্তর দিয়েছিলাম, যে বিষয়টা এমনিতেই জনপ্রিয়, সেটা আর নতুন করে উদ্যাপন করার দরকার হয় না।’’ প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে শাহরুখ খান, রানি মুখোপাধ্যায়, প্রীতি জ়িন্টা, অভিষেক বচ্চনকে নিয়ে ‘কভি অলবিদা না কহনা’ বানিয়েছিলেন কর্ণ। ওই ছবির মূল গল্পই তৈরি হয়েছিল বিবাহবহির্ভূত প্রেম ও পরকীয়াকে ঘিরে।
একই সাক্ষাৎকারে কর্ণ আরও বলেন, ‘‘আমার পরিবারের এক সদস্যের ডিমেনশিয়া ছিল। তো তিনি এক সময় এক মহিলার নাম বলে ফেলেছিলেন, আর তার পরেই তামাশা শুরু হয়ে গিয়েছিল! তখন জানতে পারা যায় যে, আসলে অন্য একটা প্রেম করছিলেন তিনি। পরিস্থিতি সামলাতে আমার মা, বাবা সবাইকে ছুটে আসতে হয়েছিল। এ দিকে আমি তো তখন পুরো বিষয়টা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছি।’’ কর্ণ জানান, ৮২ বছর বয়সে এমন একটা প্রেমের উদাহরণ চোখের সামনে দেখতে পেয়েই উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই ‘রকি অউর রানি...’ ছবিতে ধর্মেন্দ্র ও শাবানার চরিত্রের গল্প বেঁধেছিলেন পরিচালক।