রশ্মিকাকে শিল্পী হিসাবে গ্রাহ্যই করলেন না ঋষভ ! ফাইল চিত্র
সামান্থা প্রভু আর সাই পল্লবী ‘সত্যিকারের শিল্পী’। তাঁদের সঙ্গেই কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন পরিচালক তথা অভিনেতা ঋষভ শেট্টি। রশ্মিকা মন্দনার নাম মনেই এল না তাঁর। ঠিক যেমন দু’দিন আগে ‘পুষ্পা’-অভিনেত্রীর মুখেও উচ্চারিত হয়নি তাঁর প্রথম কাজের সঙ্গে জড়িত প্রযোজনা সংস্থার নাম। তারই কি শোধ নিলেন ঋষভ?
কন্নড় ছবি ‘কান্তারা’ যখন বক্স অফিসে ৪০০ কোটিরও বেশি ব্যবসা করছে, একান্তে ধরা দিলেন পরিচালক। এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কোন কোন নায়িকার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক তিনি? যার উত্তরে ঋষভ বলেন, “চিত্রনাট্য লেখা শেষ হলে তবেই আমি চরিত্রায়ন নিয়ে ভাবি। তবে সেই ধরনের অভিনেত্রীদের পছন্দ করি না।” কোন ধরনের অভিনেত্রীর কথা বললেন ঋষভ? নাম না করলেও স্পষ্ট বোঝা গেল, তিনি রশ্মিকা।
দেখা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক বিতর্কের জেরে তাঁর উপর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়েছে দক্ষিণের। কর্নাটকে রক্ষিত শেট্টির প্রযোজনা সংস্থা, যাঁদের সঙ্গে জীবনের প্রথম ছবি ‘কিরিক পার্টি’ করেছিলেন অভিনেত্রী, সেই সংস্থার নাম মুখেই আনেননি এক সাক্ষাৎকারে, যার পরই জলঘোলা হয়। ঘটনাচক্রে প্রযোজক রক্ষিতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রশ্মিকা। সম্পর্ককে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে আংটিবদল থেকে শুরু করে বাগ্দানও নাকি সেরে ফেলেছিলেন দু’জনে। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সেই জন্যই কি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন রশ্মিকা? সে যা-ই হোক, তাতে ঋষভের কী? জানা যায়, প্রযোজক রক্ষিতের প্রাণের বন্ধু তিনি। বন্ধুর অপমান নিজের গায়ে লাগতেই রশ্মিকাকে অগ্রাহ্য করলেন পরিচালক— এমনই অনুমান একাংশের।
সেই একই সাক্ষাৎকারে সামান্থা এবং পল্লবীকে ‘সত্যিকারের শিল্পী’-র তকমা দেন ঋষভ। আরও জানান, সামান্থা সুস্থ হয়ে কাজে ফেরার অপেক্ষা করছেন তিনি।